Breaking News

সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস ২০২২ | Best Photo Editing Apps

আমরা অনেকেই শখ করে নিজেদের ফটো এডিট করতে চাই এবং ফটোকে এডিট করার জন্য প্রয়োজন সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস। ‍কিন্তু অনলাইনে অনেক ফটো এডিটিং অ্যাপস রয়েছে। এসকল অ্যাপস থেকে কোন অ্যাপ আপনার জন্য পারফেক্ট হবে, সেটিই জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ছবি লক্ষ করা যায়। এসকল ছবিগুলোর পেছনে ভাল ক্যামেরার চেয়ে এডিটিং সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। আপনি হয়তো ভাল মানের ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহার করে ছবি তুলে থাকেন। কিন্তু সেটিকে সকলের নিকট PerfectAttractive করে তুলতে অবশ্যই আপনাকে সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।

পূর্বে একটা সময় ফটোকে এডিট করতে হলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে ফটোশপ অ্যাপ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বতর্মান সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এসকল কাজ মোবাইলের মাধ্যমেই করা সম্ভব হচ্ছে। অতএব, আপনার ছবিকে অন্যের নিকট আকর্ষনীয় ও অসাধারণ লুকে প্রকাশ করতে ‘’সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস’’ আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম!

সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপসঃ-

আর্টিকেলটির সৌন্দর্য্য রক্ষার্তে আমাদেরে বাছাই করা সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস সমূহ ক্রমান্বয়ে নিচে উল্লেখ করা হলো এবং এন্ড্রয়েড ও আইফোন ব্যবহারকারী সকলের জন্য অ্যাপস সমূহের ডাউনলোড লিংক আর্টিকেলের শেষাংশে দেওয়া থাকবে।

সাধারণত আপনি দুইভাবে আপনার ফটো এডিট করতে পারেন। যথা-

  • অনলাইন বা ফটো এডিটিং সাইট থেকে ও
  • ফটো এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করে।

যদিও প্রথম অংশটি আজকের আলোচ্য বিষয় নয় তবুও সকলের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করা অনলাইন থেকে ফটো এডিটিং সম্পর্কে সামান্য কিছু ব্যবহারবিধি উল্লেখ করা হলো-

অনলাইন থেকে ফটো এডিটিংঃ-

অনলাইন থেকে ফটো এডিটিং করার জন্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট রয়েছে। অনেকেই এসকল ওয়েবসাইটকে ফটো এডিটিং অ্যাপস বলে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে ফটো এডিট করার জন্য আমরা দুটি ওয়েবসাইটকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। যথা- (1) Canava.com ও (2) remove.bg

আরও পড়ুন- অনলাইন থেকে টাকা আয় করার ১০টি সহজ উপায়

Canava অনলাইন ফটো এডিটিং অ্যাপসঃ-

বর্তমান সময়ে সেরা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার হচ্ছে canava.com. এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে জিমেইল এর মাধ্যমে ফ্রিতে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে। তারপর এটির সকল ধরনের ফিচার দেখতে পারবেন ও ব্যবহার করতে পারবেন।

এটি ব্যবহার করার অন্যতম একটি সুবিধা হলো এটিতে আপনি যেসকল ছবি এডিট করবেন সবকিছু সেইভ থাকবে এবং সেগুলো যেকোনো সময় আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এটিতে অসংখ্য ফ্রি ফটো রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করে আপনার ফটোকে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। এমনকি কিছু প্রিমিয়াম ফটোও রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে হলে আপনাকে টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হবে।

যদি আপনার মোবাইলে ফটো এডিটিং অ্যাপস ব্যবহার করতে কোনো ধরনের সমস্যা হয় বা স্টোরেজ কম থাকে তাহলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব থাম্বনেলও তৈরি করতে পারবেন।

যেহেতু এটি একটি অনলাইন ফটো এডিটিং অ্যাপস তাই এটিকে আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো ডিভাইসেই ব্যবহার করতে পারবেন।

remove.bg অনলাইন ফটো এডিটিং অ্যাপসঃ-

সকলের নিকট অনলাইন ফটো ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার সফটওয়্যার হিসেবে remove.bg অনেক বেশি পরিচিত। এটিতে আপনি খুবই সহজে যেকোনো ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। এমনকি এটিতে কিছু ফ্রি ব্যাকগ্রাউন্ডও পাবেন যা আপনার ছবিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

এই সফটওয়্যারটির ব্যবহার খুবই সাধারণ। যেহেতু এটি অনেকের নিকটই পরিচিত তাই এটি সম্পর্কে আর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছিনা। আপনি নিজেই একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এমনকি তাদের এই সাইটটির একটি অ্যাপও রয়েছে। ডাউনলোড লিংক আর্টিকেলটির শেষাংশে পেয়ে যাবেন।

ফটো এডিটিং অ্যাপঃ-

নিচে সেরা কিছু ফটো এডিটিং অ্যাপস ও অ্যাপস সমূহের ফিচার, সুবিধাসহ উল্লেখ করা হলো-

Picsart Photo & Video Editor:-

Picsart app

বেস্ট ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে অনেকেই হয়তো Picsart অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন কিংবা নাম শুনেছেন। ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় অ্যাপ। অ্যাপটিতে অসংখ্য ফিচার রয়েছে যার কারণে এটি সকলের নিকট জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অ্যাপটি ব্যবহার করে শুধুমাত্র ফটো এডিট নয় আপনি এটি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের প্রফেশনাল লগো ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইনও করতে পারবেন। ফটো এডিটিং করার জন্য কম্পিউটারে থাকা অনেক টুলস এই অ্যাপটিতে বিদ্যমান। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি কম্পিউটারের মতোই যেকোনো ফটো তৈরি করতে পারেন।

Picsart অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাঃ-

  • অ্যাপটির সাহায্যে খুবই সহজে যেকোনো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন কিংবা নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করতে পারবেন।
  • যেকোন ছবির অস্পষ্টতা দূরীকরণ, উজ্জলতা বৃদ্ধি করা, Adjustment ইত্যাদি কাজ সহজেই করতে পারবেন।
  • এটিতে আপনি সাধারণ ফটো এডিটিং অ্যাপ এর ন্যায় ছবিতে ফ্রেম যুক্ত করা, একাধিক ফটোকে একসাথে যুক্ত করা সহ ছবিতে যেকোনো লিখা যুক্ত করতে পারবেন এমনকি নিজের পছন্দের যেকোনো ফন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
  • অ্যাপটিতে আরও রয়েছে অসংখ্য কালার ফিল্টার যেটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ছবিকে অসাধারণ করে ‍তুলতে পারেন।
  • এমনকি আপনি চাইলে সাধারণ একটি ফটোর ব্যাকগ্রাউন্ডকে DSLR এর মতো Blur করতে পারবেন তাছাড়া অ্যাপটিতে আরও রয়েছে ড্রয়িং করার সুবিধা। যদি আপনি ড্রয়িং-এ পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।
  • এটিতে আরও রয়েছে রিপ্লে ফিচার, যার মাধ্যমে আপনি যা এডিট করছেন তা টাইমলাইন আকারে দেখতে পারবেন।
  • এটিতে ইমেজ লাইব্রেরি রয়েছে যা থেকে আপনি অসংখ্য ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি অসংখ্য স্টিকারও রয়েছে অ্যাপটিতে।
  • অ্যাপটিতে আরও পাচ্ছেন ম্যাজিক ইফেক্টস, যা ব্যবহার করে সত্যিই ছবিকে ম্যাজিক এর মতো পরিবর্তন ও আকর্ষণীয় করা যায়।
  • সর্বোপরি, যদি আপনি ভিডিও এডিট করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এটির মাধ্যমে যেকোনো শর্ট বা ছোট ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা

Lightroom Photo & Video Editor:-

Lightroom app

Lightroom অ্যাপটির মূল পরিচয় হলো Adobe Lightroom. এটিকে বলা যেতে পারে, ফটো ও ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী ফটো এডিটিং করার জন্য Photoshop এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর জন্য Adobe Illustrator অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। বলা চলে, কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য Adobe কোম্পানির পণ্যের তুলনা হয় না।

Adobe কোম্পানি মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য Lightroom অ্যাপটি তৈরি করেন। এতো জনপ্রিয় একটি কোম্পানির অ্যাপ ফটো এডিটিং এর জন্য কতটুকু হেল্পফুল হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এটি শুধুমাত্র নামে বড় নয় কাজের ক্ষেত্রেও বলা যায় One of The Best Photo Editing Apps For Mobile. প্রাথমিকভাবে অ্যাপটি ব্যবহার করতে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে কিন্তু কিছুদিন অনুশীলন করলে খুবই সহজে যেকেউ এটির মাধ্যমে অসাধারণ ছবি এডিট করতে সক্ষম।

Lightroom অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাঃ-

Lightroom অ্যাপটির অসংখ্য ফিচার রয়েছে যা আপনাকে আপনার প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে সক্ষম। নিচে কিছু সুবিধা উল্লেখ করা হলো-

  • এটির মাধ্যমে অন্ধকারে তোলা যেকোনো ছবিকে খুব সহজে আলোকিত করতে পারবেন।
  • এটির অন্যতম একটি ফিচার হলো এর Auto Mode. এটির মাধ্যমে আপনার ছবিকে অ্যাপটি নিজ থেকেই যেকোনো রূপে পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম।
  • যদি আপনি প্রফেশনাল মানের ইউটিউব থাম্বনেল কিংবা কোনো ফেসবুক পোস্ট তৈরি করতে চান তাহলে এটিই আপনার জন্য যথেষ্ট।
  • অ্যাপটিতে অসংখ্য ফিল্টার রয়েছে যা ব্যবহার করে ছবির কালার, স্টাইল ও লুক পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • অ্যাপটিতে ব্যাসিক এডিটিং টুলস সহ পাবেন প্রিমায়াম কালার কন্ট্রোল, এডভান্সড ক্যামেরা কন্ট্রোল ইত্যাদি নানান সুবিধা।
  • তাছাড়া, যদি আপনি সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ খুঁজে থাকেন তাহলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো ধরনের প্রফেশনাল ভিডিও এডিট করতে সক্ষম এই অ্যাপটি।

AirBrush: Easy Photo Editor:-

AirBrush app

উপরোক্ত অ্যাপ সমূহ ভিডিও ও ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে পরিচিত থাকলেও AirBrush শুধুমাত্র ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে কাজ করে। সেই হিসেবে এটি ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে অনেক জনপ্রিয় ও কার্যকরী।

যদি আপনার যেকোনো ছবিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে চান তাহলে এই অ্যাপটি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে আপনার নিকট জায়গা করে নিতে পারবে। নিচে অ্যাপটির সাধারণ কিছু সুুবিধা উল্লেখ করা হলো-

AirBrush অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাঃ-

  • বিশেষ করে সেলফি বা মানুষের ছবি এডিট করতে বেশ জনপ্রিয় এই অ্যাপ। ছবি এডিট করার জন্য এতে রয়েছে Perfect & Smooth Skin, Whiten Teeth, Brighten Eyes এর মতো অসাধারণ সুবিধা। তাছাড়া, অস্পষ্ট ছবিকে আলোকিত করতে বোকেহ মোড রয়েছে যা সত্যিই অসাধারণ।
  • এমনকি কারো ফেস বা চেহারায় যদি কোনো ধরনের কালো দাগ বা পিম্পল থাকে তা খুবই সহজে রিমুভ করতে পারবেন এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। বিশেষ করে, মেয়েদের জন্য এটি অনেক বেশি উপকারী।
  • এটিতে ক্যামেরা ফিচারও সংযুক্ত রয়েছে যার ফলে এটিকে সেরা ক্যামেরা অ্যাপ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • মোদ্দকথা- এটি ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে পরিচিতি পেলেও এটি মূলত স্টুডিও প্রেমিকদের জন্য। এটির মাধ্যমে যেকোনো সাধারণ ছবিকে মেক-আপ বা অন্যান্য ফিল্টার ব্যবহার করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।

আরও পড়ুন- বিশ্বের সব দেশের নাম, রাজধানী এবং মুদ্রার নাম

Snapseed:-

ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে অনেকেই Snapseed-কে সেরা অ্যাপ হিসেবে বলে থাকে। তবে, অ্যাপটির সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো এটি গুগল এর একটি পণ্য। সুতরাং অন্যেরা এটি সম্পর্কে কি বলে তা শোনার পূর্বেই আপনি হয়তো ধারণা করতে পারছেন যে, অ্যাপটি ফটো এডিটিং এর জন্য কতটুকু পারফেক্ট হবে। এটি মূলত একটি প্রফেশনাল ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে পরিচিত।

Snapseed অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাঃ-

Snapseed Tools

  • অ্যাপটি প্রথমেই আপনার ইনপোর্টকৃত ছবির জন্য কিছু ফিল্টার সাজেস্ট করবে যা সাধারণ ফটো এডিটরদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ফিচার।
  • অ্যাপটিতে রয়েছে Crop, Rotate, Brush, Healing, Lens Blur এর মতো অসংখ্য প্রয়োজনীয় টুলস। যা ব্যবহার করে যেকোনো ফটোকে পারফেক্ট লুক দেওয়া সম্ভব।
  • অ্যাপটিতে আপনি অনেকগুলো ব্যাসিক ও এডভান্সড লেভেলের টুলস পেয়ে যাবেন যা ব্যবহার করে যেকোনো ছবিকে প্রফেশনালভাবে এডিট করতে সক্ষম হবেন।
  • অ্যাপটির আরও একটি সুবিধা হলো এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। এটি ব্যবহার করার সময় কোনো ধরনের বিজ্ঞাপণ আসার ঝামেলা নেই এমনকি কোনো ফিচার ক্রয় করারও প্রয়োজন হবে না।

Photoshop Express Photo Editor:-

Photoshop Express app

উপরে যেই Lightroom অ্যাপটি উল্লেখ রয়েছে এটিও সেই একই কোম্পানির অর্থাৎ Adobe কোম্পানির পণ্য। তবে, দুটো অ্যাপস এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য তো অবশ্যই রয়েছে। প্রথমতো Lightroom অ্যাপটি ভিডিও ও ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু Photoshop Express অ্যাপটি শুধুমাত্র ফটো এডিটিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়।

বলা যায় Photoshop Express এটি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ। অ্যাপটিতে প্রথমেই আপনি কিছু অসাধারণ ফিল্টার লক্ষ করবেন যা সত্যিই যেকোনো ফটোকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। তবে, Adobe কোম্পানির অ্যাপসগুলি ব্যবহার করার পূর্বে জিমেইল বা ফেসবুক এর মাধ্যমে লগিন করে নিতে হবে। 

তারপর পাবেন Crop, Rotate, Farame, Border ও টেক্সট স্টাইল যুক্ত করার সুযোগ। এসকল টুলস ব্যবহার করে ছবিকে পারফেক্ট করে নিতে পারবেন।

এটিতে থাকা Quick ফিচার ব্যবহার করে যেকোনো ছবিকে অটোমেটিকভাবে এডিট করতে পারবেন।

VSCO: Photo & Video Editor:-

উপরে বর্ণিত অ্যাপ সমূহ ব্যবহার করে আপনাকে বিভিন্ন টুলস প্রয়োগ করে ছবি এডিট করতে হবে। কিন্তু যদি আপনি এক ক্লিকেই আপনার ছবিকে এডিট করে নিতে চান তাহলে VSCO অ্যাপটি আপনার নিকট সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ হতে পারে।

এই অ্যাপটিতে অসংখ্য ফিল্টার রয়েছে। যা ব্যবহার করে যেকোনো ছবিকে সহজেই এডিট করা সম্ভব। মূলত এই অ্যাপটি ফিল্টারের জন্য বিখ্যাত। তবে, এটিতে ম্যানুয়ালি এডিট করার জন্যও  প্রয়োজনীয় সকল টুলস রয়েছে। যেমন- Adjustment, Contrast, Sharpen, Skin Tone, Border ইত্যাদি।

অ্যাপটিকে দেখতে সাধারণ মনে হলেও এটির মাধ্যমে প্রফেশনাল মানের ফটো এডিট করাও সম্ভব। এটির আরও একটি প্রধান সুবিধা হলো এটিতে দশ (১০) টি ফ্রি প্রিসেট রয়েছে। যা ব্যাবহারে আপনার ফটোকে সকলের নিকট আকর্ষণীয় করে তুলবে। অ্যাপটিতে এরকম কিছু ফিচার ও টুলস রয়েছে যা অন্য কোনো  ফটো এডিটিং অ্যাপে পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে টাকা আয় কিভাবে?

PhotoDirector – Photo Editor:-

PhotoDirector app

ফটো এডিটিং অ্যাপ হিসেবেও PhotoDirector অনেক পরিচিত একটি এপ্লিকেশন। এটিতে এরকম কিছু টুলস রয়েছে যা ব্যবহার করার পর আপনার ছবির কোয়ালিটি এবং লুক অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি করে সকলের নিকট আকর্ষণীয় করে তুলবে। নিচে অ্যাপটি ব্যবহার করার কিছু ‍সুবিধা ও ব্যবহারবিধি উল্লেখ করা হলো-

PhotoDirector অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধাঃ-

এটিতে পাবেন Total Color Control টুলস, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ছবিতে খুব সহজেই কালার পরিবর্তন ও কালার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

এটিতে আরও রয়েছে Control Saturation Image টুলস, যা ব্যবহার করে যেকোনো গ্রুপ ছবির নিদিষ্ট অংশের কালার পরিবর্তন কিংবা ছবির উপর ফোকাস বৃদ্ধি করতে পারবেন। এমনকি কোনো গ্রুপ ফটোর কিছু অংশ কালো বা কিছুটা আলোকিত করা কিংবা প্রয়োজনীয় অংশ Blur করতে পারবেন।

এটিতে আরও রয়েছে Entuitive Skin টুলস, যা ব্যবহার করে আপনি ত্বক ফর্সা করতে পারবেন এবং Creative Blur ব্যবহার করে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড Blur করতে পারবেন।

অ্যাপটিতে আরও একটি অসাধারণ ফিচার হচ্ছে অর্জিনিয়াল ছবির সাথে আপনার এডিটিং ছবির কতটুকু পার্থক্য হয়েছে তা এক ক্লিকেই দেখতে পারবেন।

PixelLab – Text on pictures:-

উপরোক্ত অ্যাপ সমূহ ফটো এডিটিং ও ডিজাইনিং কাজের জন্য বেস্ট এপ্লিকেশন ছিলো। কিন্তু যদি আপনি শুধুমাত্র যেকোনো ডিজাইনিং এর কাজ করতে কোনো ফটো এডিটিং অ্যাপ খুঁজে থাকেন তাহলে PixelLab অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপটির নামের দিকে খেয়াল করলেই এটির ব্যবহারবিধি বুঝা যায়।

যদি আপনি মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল মানের ডিজাইনিং এর কাজ করতে চান তাহলে এই অ্যাপটি আপনার জন্য বেস্ট একটি অ্যাপ হবে। অধিকাংশ ইউটিউবারগণ তাদের ভিডিওর থাম্বনেল তৈরিতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে থাকেন।

অ্যাপটিতে ফটো এডিটিং এর জন্যও ব্যাসিক টুলস যুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি টেক্সট ডিজাইনিং এর জন্য রয়েছে অসাধারণ ফিচার। অ্যাপটির মাধ্যমে টেক্সট-এ Strock, Shadow, 3D Style সহ আরও অসংখ্য ফিচার যুক্ত করতে পারবেন।

তাছাড়া আরও রয়েছে Text or Photo Position, Text Color, Opacity, Alignment, 3D Rotate সহ অনেক ধরনের টুলস।

সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ ডাউনলোড লিংকঃ-

শেষ কথাঃ- প্রিয় পাঠক, অধিকাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ও ফটো এডিটরদের পছন্দের লিস্ট থেকে উপরে আপনাদের জন্য উপহারস্বরূপ ’’সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস’’ হিসেবে কিছু অ্যাপ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। সকল অ্যাপসমূহ সকলের নিকট পছন্দ হবে না এটাই স্বাভাবিক।

তবুও অনুরোধ থাকবে উল্লিখিত অ্যাপ সমূহের ফিচার ও সুবিধাসমূহ জানার পর কোনো অ্যাপ যদি আপনার নিকট ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একবার ব্যবহার করে দেখবেন। এবং কোন অ্যাপটি আপনার পছন্দ হয়েছে সেটি অন্যান্য পাঠক ও আমাদেরকে কমেন্টস করে জানাতে পারেন।

আরও পড়ুন- সেরা ক্যামেরা অ্যাপ ২০২২

বন্ধুরা, ’’সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস’’ আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———– ধন্যবাদ! ———–

About Bondhu24

Check Also

সেরা ক্যামেরা অ্যাপ

সেরা ক্যামেরা অ্যাপ ২০২২ | Best Camera Software Android

বর্তমান সময়ে আমরা অনেকটাই ছবি প্রেমিক এবং ভাল ছবি তুলতে চাই। ‍কিন্তু ভাল ছবি তুলতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *