Breaking News

সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস | মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করুন

এডিটিং এর দুনিয়ায় আমরা অনেকেই ভিডিও এডিট করতে চাই নিজেকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায়। আর ভিডিও এডিট করার জন্য প্রয়োজন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। একটা সময় কম্পিউটার ব্যাতীত ভিডিও এডিটিং এর কথা চিন্তা করা যেতো না।

কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে ও সোশ্যাল মিডিয়া (ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, ইন্সটাগ্রাম) এর জনপ্রিয়তা পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে ভিডিও দেখার প্রবণতাও বেড়ে গিয়েছে। ফলে বর্তমানে মোবাইল দিয়েই ভাল মানের ভিডিও এডিট ও প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।

ভাল মানের ভিডিও তৈরি করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে। আজকের আর্টিকেলে এরকমই কিছু সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস সম্পর্কে জানাবো যা, সকল ধরনের ভিডিও প্রস্তুতকারক ব্যবহার করে থাকে এবং আপনার ভিডিও এডিটিংকে আরও বেশি সুন্দর করে তুলবে।

মোবাইল দিয়ে সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপসঃ-

1. FilmoraGo Video Editor & Maker:-

FilmoraGo একটি জনপ্রিয় ও অনেক শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এটি ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে আসছে। এটিতে থাকা সকল ধরনের ফিচার এর কারণে এটির জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠেছে। এটির রেটিং সংখ্যা 4.6 এবং ডাউনলোড সংখ্যা প্রায় ৫০ মিলিয়ন এর চেয়েও বেশি।

FilmoraGo ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ-

  • ভিডিও কাটিং, মিউজিক যোগ করা, বিভিন্ন ইফেক্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি সাধারণ ফিচার সমূহ সমৃদ্ধি রয়েছে।
  • ভিডিওতে বিভিন্ন ইফেক্ট যেমন- টেক্সট যুক্ত করা, স্লো মোশন, ট্রান্সিশনস ইত্যাদি ইফেক্ট যুক্ত করে ভিডিওতে প্রফেশনাল লুক দিতে পারবেন।
  • ভিডিও এডিটং অবস্থায় প্রিভিউ বা প্লে করে চেক করতে পারবেন, কতটুকু এডিট হয়েছে কিংবা কোনো ভুলত্রুটি রয়েছে কি না।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অনুপাতে ভিডিও এডিট করতে পারবেন। যেমন- ইউটিউবের জন্য 16:9, ফেসবুকের জন্য 1:1 ইত্যাদি।
  • অনেক ধরনের প্রফেশনাল এডিটিং টুলস রয়েছে যার মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং আরও বেশি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
  • এমনকি অনেক লং বা বড় ভিডিও এডিট করতে সক্ষম এই অ্যাপসটি।
  • ভিডিও এডিট করার পর সরাসরি ফাইল ম্যানেজার বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার সুবিধা রয়েছে।
  • এসকল ফিচারসমূহ আপনি ফ্রিতেই পাবেন এবং আরও কিছু বাড়তি সুবিধা পেতে হলে আপনাকে প্রিমিয়াম ভার্সন টাকা দিয়ে ক্রয় করে ব্যবহার করতে হবে।

সর্বোপরি, এটিতে থাকা সকল ধরনের অসাধারণ ফিচার এর কারণে অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মন জয় করে নিয়েছে এই অ্যাপসটি। বর্তমানে এটিকে সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুন- ইউটিউবের ভিডিও এসইও করার কিছু টিপস

2. PowerDirector – Video Editor:-

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস

ভিডিও এডিটিং করতে কোন অ্যাপসটি ভাল হবে? এরকম প্রশ্নে অনেকেই হয়তো PowerDirector অ্যাপসটির নাম শুনে থাকবেন। প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস সমূহের মধ্যে PowerDirector অন্যতম একটি অ্যাপ।

অ্যাপটিতে কিছু এডভান্স ফিচার সংবলিত রয়েছে যার ফলে প্রাথমিকভাবে ভিডিও এডিট করতে কিছুটা অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। তবে, কিছুদিন প্র‌্যাকটিস করলে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন এবং খুবই দ্রুত ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম হবেন। PowerDirector অ্যাপটিতে অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে যা অন্যান্য অ্যাপস-এ পাওয়া যায় না।

সুতরাং বলা যায় যদি আপনি ভাল ও সেরা মানের ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে এই অ্যাপসটি আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সকল ধরনের সুবিধা দিবে। এটি আপনাকে হতাশ করবে না আশাবদী। তবে, লো-কোয়ালিটির মোবাইল ফোনে এটি ব্যবহার করতে কিছুটা সমস্যা বা ভিডিও তৈরি করতে কিছু সময় লাগতে পারে।

PowerDirector ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ-

  • অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি যেকোনো ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন (Chroma-key) করার সুবিধা পাবেন।
  • এটির মাধ্যমে স্লো মোশন (Slow Motion) ইফেক্ট প্রয়োগ করে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
  • ভিডিও এডিটিং এর সাধারণ সুবিধা যেমন- ভিডিও কাটিং, ভিডিও সংযোগ, ভিডিও ইফেক্টস, ফটো টু ভিডিও তৈরি এবং আরও অনেক ধরনের ফাংশন রয়েছে এই অ্যাপে।
  • অ্যাপটিতে সাধারণ ফিচার এর পাশাপাশি অসাধারণ কিছু ফিচার রয়েছে যা দেখে যেকেউ মুগ্ধ হবে নিশ্চিত।
  • সর্বশেষ ভিডিও এডিট করার পর সেটি 720P, 1080P এমনকি 4K ফরম্যাটেও ফাইল ম্যানেজার-এ সেইভ করতে পারবেন।

অ্যাপটির রেটিং 4.3 এবং ডাউনলোড সংখ্যা প্রায় ১ মিলিয়নের চেয়ে আরও বেশি। বলা যায় এটিও মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস।

3. VivaVideo – Video Editor&Maker:-

VivaVideo অ্যাপটিকে অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীগন খুব সহজেই এটির মাধ্যমে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে পারে। এটির জনপ্রিয়তার ফলে অনেক ব্লগার বা অ্যাপ রিভিওগণ অ্যাপটিকে সেরা অ্যাপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

যদি আপনি টিকটক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ তৈরি করতে চান তাহলে এই অ্যাপটি আপনার জন্য অনেক ফ্রেন্ডলি হবে। মূলত সোস্যাল মিডিয়ার জন্য শর্ট ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে অ্যাপটির জুড়ি নেই।

VivaVideo ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ-

  • অ্যাপটিতে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য প্রয়োজনীয় অসংখ্য ফিচার যেমন- ভিডিও কাটিং, ভিডিও যুক্ত করা, সাবটাইটেল যুক্ত করা, trimming, merging, ওভারলে সহ আরও অনেক ভিডিও ইফেক্ট ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে।
  • ভিডিও বা ফটোতে টেক্সট এর উপর বিভিন্ন ইফেক্ট প্রয়োগ করে ভিভিন্ন ধরনের স্লাইট ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
  • অ্যাপটিতে হাই কোয়ালিটির ফ্রি ভিডিও টেমপ্লেট ,ম্যাজিক ইফেক্ট এবং ট্রান্সেকশন সুবিধা রয়েছে।
  • খুব সহজে যেকোনো ফটো দিয়ে ১০ সেকেন্ডের শর্ট মিউজিক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
  • অ্যাপটিতে আরও থাকছে ২০০ এর অধিক ভিডিও ফিল্টার, স্লো মোশন এবং ফাস্ট মোশন ব্যবহার করার সুবিধা।
  • সর্বোপরি এটিতেও 720p, ফুল এইচডি 1080p এবং 4K কোয়ালিটিতে ভিডিও সেইভ করতে পারবেন।

এক কথায় বলা যায়, এটি অল ইন ওয়ান ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। ছোট কাজ থেকে শুরু করে বড় ধরনের যেকোনো কাজ এই অ্যাপটির মাধ্যমে করা সম্ভব। আপনি নিজে একবার ব্যবহার করে দেখার অনুরোধ রইলো।

আরও পড়ুন- মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ কিছু উপায়

4. GoPro Quik: Video Editor:-

GoPro Quik একটি ডোয়াল অ্যাপ্লিকেশন। এটির মাধ্যমে ভিডিও এডিট করার পাশাপাশি ফটো এডিটও করতে পারবেন। এটির আরও একটি সুবিধা হলো এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। এটি ব্যবহার করার সময় কোনো ধরনের এড বা বিজ্ঞাপণ আসার সুযোগ নেই।

এটি অনেক ফাস্ট কাজ করতে সক্ষম। এটিতে একাধিক ফাইল তথা ফটো বা ভিডিও ইমপোর্ট করে এডিট করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও থাকছে ২০টির অধিক ভিডিও স্টাইল, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের ইফেক্ট বেছে নিয়ে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

এটির আরও অনেক বড় একটি সুবিধা হলো এটির ’’অটোমোটক ভিডিও ক্রিয়েশন’’ ফিচার। এর মাধ্যমে আপনার পছন্দমতো এক বা একাধিক যেকোনো ফটো বা ভিডিও সিলেক্ট করে দিলে এটি অটোমোটক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটির মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও তৈরি করে দিতে সক্ষম।

সর্বোপরি, ভিডিও এডিট করার পর অন্যান্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপস-এর ন্য়ায় 720p ও 1080p এ ফাইল ম্যানেজারে সেইভ করতে পারবেন বা এক্সপোর্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি অন্যোন্য সোশাল মিডিয়াতে ডিরেক্টলি শেয়ার করার সুবিধা রয়েছে।

অ্যাপটি রেটিং এর দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। এর রেটিং সংখ্যা 4.7 এবং ডাউনলোড সংখ্যা প্রায় ১০ মিলিয়ন এর চেয়ে আরও বেশি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হিসেবে এটি কতটা জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন- সেরা ক্যামেরা অ্যাপ ২০২২

5. KineMaster – Video Editor:-

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস

যদি আপনি কারো নিকট ভিডিও এডিটিং অ্যাপস সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে হয়তো উপরের পাওয়ার ডিরেক্টর এর ন্যায় KineMaster অ্যাপসকেও সাজেস্ট করতে পারে। এটি অধিকাংশ ভিডিও এডিটর বা ক্রিয়েটরগণ ব্যবহার করে থাকেন। আমি নিজেও একজন ইউটিউবার হিসেবে এটি ব্যবহার করেছি এবং অন্যদের সাজেস্ট করে থাকি।

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয় ও পুরাতন অ্যাপস। আপনি একজন মোবাইল ব্যবহারকারী হিসেবে ভিডিও এডিটিং করতে চাইলে এটি আপনার জন্য অবশ্যই সাজেশন থাকবে। এটির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো এটি যেকোনো সাধারণ ভিডিও এডিট করতে সক্ষম।

যদি ভিডিও এডিটিং সেক্টরে আপনি সম্পূর্ণ নতুন হয়ে থাকেন তবুও এটি ব্যবহার করতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। একজন ভিডিও এডিটর এর জন্য ব্যাসিক থেকে শুরু করে এডভ্যান্স ও প্রফেশনাল সকল ধরনের ভিডিও এডিট করতে সক্ষম এই অ্যাপস।

এটি ব্যবহার করে আপনি মোবাইল দিয়েই কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিট করতে পারবেন। এটি অনেকটা কম্পিউটার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মতো। যদিও এটি কম্পিউটারে ব্যবহার যোগ্য নয় বা কম্পিউটার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মতো শক্তিশালী নয়, তবুও মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হিসেবে এটি সকলের নিকট অনেক পছন্দের।

KineMaster ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ-

  • ভিডিওর সাইজ সিলেক্ট করার সুবিধা রয়েছে। আপনি কোন ফরম্যাটে ভিডিও এডিট করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করে নিতে পারবেন।
  • অন্যান্য অ্যপস এর তুলনায় এটি ব্যবহার করার অনেক সুবিধা রয়েছে। এমনকি এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং ইন্টারফেস ও ডিজাইন অনেক সুন্দর।
  • এটিতে আরও রয়েছে ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করার সুবিধা। যার মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো ফাইল ইমপোর্ট করতে পারবেন।
  • এমনকি অন্যান্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর সাধারণ ফিচার এর পাশাপাশি আরও কিছু অতিরিক্ত ফিচার রয়েছে। যেমন- ভিডিওর মধ্য খানে টেক্সট লিখা, ইফেক্টস প্রয়োগ করা, সাবটাইটেল ব্যবহার করা ইত্যাদি।
  • এটিতে রয়েছে অডিও ফিল্টার, ভিডিও ট্রান্সজিশান, ভিডিও ইফেক্ট এবং আরও আকর্ষণীয় ও প্রয়োজনীয় ফিচারস।
  • এটির সবচেয়ে জনপ্রিয়তার কারণ হলো এর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন (Chroma-key) ফিচার। যার মাধ্যমে ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ‍নিখুঁত ও প্রফেশনালভাবে রিমুভ বা পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • তাছাড়া ভিডিওর স্পিড ফাস্ট ও স্লো করার সুবিধা দিবে এই অ্যাপস।
  • একাধিক ভিডিও ‍যুক্ত করা ও একাধিক লেয়ার ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ভিডিওতে বিভিন্ন ফ্রেম, বিভিন্ন স্টিকার যুক্ত করা এমনকি মিউজিক যুক্ত করারও সুবিধা রয়েছে।
  • রিয়েল টাইম প্রিভিউ সমর্থিত। ফলে ভিডিও সেইভ করার পূর্বে নিখুঁতভাবে এডিটিং যাচাই করে নিতে পারবেন।
  • ভিডিও এডিট করার পর যেকোনো ফরম্যাটে সেইভ করতে পারবেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিরেক্টলি শেয়ার করতে পারবেন।

সর্বোপরি, এটি অনেক শক্তিশালী একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। যদিও এটির প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে কিন্তু ফ্রি ভার্সনে যেসকল সুবিধা রয়েছে তা একজন ভিডিও এডিটর এর জন্য যথেষ্ট। তবে, যদি আপনি গুগল সার্চ করেন তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এটির সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম ভার্সনটিও ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- কপিরাইট ফ্রি ভিডিও দিয়ে কিভাবে নিজে ভিডিও তৈরি করবেন?

6. Video Editor & Maker – InShot:-

বর্তমান সময়ের জন্য একটি অন্যতম ও নতুনভাবে জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো InShot. আমরা অনেকেই ফেইসবুক, টিকটক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়তে বিভিন্ন ধরনের শর্ট ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের স্লাইড ভিডিও, টেক্সট এডিটিং ভিডিও দেখে থাকি। এসকল ভিডিও সমূহের অধিকাংশ এই অ্যাপস এর মাধ্যমে এডিটিং করা হয়ে থাকে।

এই অ্যাপটির মাধ্যমে খুবই অল্প সময়ে ভিডিওতে গান, ভয়েসওভার ও বিভিন্ন ইফেক্ট যুক্ত করা যায়। এমনকি এটিতে স্লো মোশন, ফাস্ট মোশন সহ আরও অনেক ধরনের ইফেক্ট রয়েছে যার মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভিডিও তৈরি করা সম্ভব।

এটিকেও ডোয়াল অ্যাপস বলা চলে। এটিতে ভিডিও এডিটিং এর পাশাপাশি ছবিও এডিট করা যায়।

যদি আপনি টেক্সট এর মাধ্যমে বিভিন্ন শর্ট ভিডিও তৈরি করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য পারফেক্ট একটি অ্যাপ্লিকেশন। এটির মাল্টি ফ্রেম রেট বিকল্প সহ অসংখ্য ইন-হাউস মিউজিক ইফেক্ট ব্যবহার করে প্রফেশনাল ভিডিও সম্পাদন করা সম্ভব।

7. Film Maker Pro – Movie Maker:-

Movie Maker এই অ্যাপকে বলা যায় যে এক প্রকার ভিডিওর ভিতরে হাজার রঙের খেলা। এটিতে সাধারণ ফিচার এর পাশাপাশি আরও কিছু অসাধারণ ফিচার রয়েছে। আপনি এর মাধ্যমে প্রফেশনাল লেভেলের কাজও করতে পারবেন। এটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি!

সাধারণত যদি আপনি ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এর জন্য ছোট ভিডিও তৈরি করতে চান, তাহলে এটির আপনার জন্য কার্যকরী একটি অ্যাপস। এই অ্যাপের আরও অনেক এডভান্স ফিচার রয়েছে যার ফলে এটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অ্যাপটির আরও কিছু স্পেশাল ফিচার হচ্ছে, আপনি খুবই সহজে এটির মাধ্যমে যেকোনো ধরনের Intro ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। Intro ভিডিও তৈরি করার জন্য এটিতে intro template রয়েছে। এমনকি এটিতে ৫০ টিরও অধিক টেক্সট অ্যানিমেশন রয়েছে। আরও রয়েছে ফানি ভিডিও তৈরি করার জন্য ফানি সাউন্ড, ইফেক্ট, ইমুজি ইত্যাদি।

সর্বোপরি এটিতেও Chroma-key ফিচার রয়েছে। যার মাধ্যমে ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন- সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস ২০২২

8. Adobe Premiere Rush: Video:-

আমরা যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেছি প্রত্যেকেই হয়তো অ্যাডোবি ফটোশপ বা অ্যাডোবির অন্য কোনো প্রডাক্ট ব্যবহার করেছি। অ্যাডোবির যেসকল প্রডাক্ট রয়েছে সেগুলো কতটুকু ভাল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অ্যাডোবি কম্পিউটার ভার্সনের পাশাপাশি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ২০১৫ সালে এন্ড্রয়েড অ্যাপ বাজারে লঞ্চ করে। এবং তাদের এসকল অ্যাপ সমূহের মধ্যে ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হিসেবে Adobe Premiere Rush রয়েছে।

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হিসেবে এটি অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও এর কার্যক্ষমতা অসাধারণ। বলা যায় কম্পিউটার সফটওয়্যার ’’প্রিমিয়ার প্রো’’ এর ছোট সংস্করণ এটি। ’’প্রিমিয়ার প্রো’’ এর সকল ফিচার সংযোজন করা না হলেও মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য যথেষ্ট সুবিধা পাবেন এই অ্যাপ ব্যবাহর করে।

এই অ্যাপে ভরপুর ফিচার রয়েছে। যা একজন ভিডিও এডিটরকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম। এটিতে আরও একটি অসাধারণ ফিচার হলো অটোমেটিক ভিডিও তৈরিকরণ। এর মাধ্যমে আপনি গ্যালারি থেকে ফটো বা ভিডিও সিলেক্ট করে দিলে এটি অটোমেটিক ভিডিও তৈরি করে দিবে।

তাছাড়া আরও রয়েছে ভিডিও ট্রিমিং, ভিডিও কাটিং, জুম ইফেক্ট, টেক্সট, সাউন্ড ব্যালেন্সিং, থিম, রঙ পরিবর্তনের সুবিধা, মিউজিক, ফিল্টার, ট্রানজিশন ব্যবহার করার ফ্রি সুবিধা। সর্বোপরি এটি থেকেও ভিডিও এডিট করার পর সেটি সরাসরি ফাইল ম্যানেজার বা গ্যালারিতে সেইভ করতে পারবেন।

অ্যাপটির রেটিং 4.1 এবং ডাউনলোড সংখ্যা ১ মিলিয়নের চেয়ে আরও বেশি। অতএব, একজন মোবাইল ভিডিও এডিটর হিসেবে এটিও ব্যবহার করার সাজেশন রইলো। একবার হলেও এটিতে থাকা সুবিধা সমূহ যাচাই করে নিবেন।

শেষ কথাঃ- সকল ভিডিও তৈরিকারীদের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে উপরোক্ত অ্যাপস সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার জন্য সেরা অ্যাপস খুঁজে থাকেন তাহলে উপরোল্লিখিত অ্যাপস থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী এক বা একাধিক অ্যাপ ইনস্টল করে দেখতে পারেন।

আশা করছি, মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরিকারী হিসেবে আপনিও এসকল অ্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটারের মতো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। আবারও বলে নিচ্ছি উল্লিখিত অধিকাংশ অ্যাপ সম্পূর্ণ ফ্রি এবং কিছু অ্যাপস প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে।

আরও পড়ুন- ইউটিউবারদের জন্য সেরা অ্যাপস

➤ আপনাদের সুবিধার্তে সকল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস সমূহের ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া হলো-

  1. FilmoraGo Download: AndroidApple
  2. PowerDirector Download: AndroidApple
  3. VivaVideo Download: AndroidApple
  4. GoPro Quik Download: AndroidApple
  5. KineMaster Download: AndroidApple
  6. InShot Download: AndroidApple
  7. Movie Maker Dpwnload: Android
  8. Adobe Premiere Rush Download: AndroidApple

প্রিয় পাঠক, ’’সেরা ভিডিও এডিটং অ্যাপস’’ আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———– ধন্যবাদ! ———–

About Bondhu24

Check Also

ইউটিউব শর্টস থেকে টাকা আয় কিভাবে

ইউটিউব শর্টস থেকে টাকা আয় কিভাবে? YouTube Shots Video Income

ভিডিও প্ল্যাটফর্মে শর্টস ভিডিওর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই জনপ্রিয়তার উপর উপর ভিত্তি করে …

2 comments

  1. ভিডিও এডিট করা বা না করা সম্পূর্ণ আপনার নিজস্ব ব্যাপার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *