Breaking News

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ কিছু উপায় | How to Earn Money by Mobile

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে অনেকেই চাই। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে টাকা ইনকাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনা। আজকে আমরা জানব কিভাবে আমাদের হাতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইন থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারব। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ আবার অনেক কঠিনও বটে। তবে কিছুটা কষ্ট করতে পারলে সহজেই আমরা আমাদের হাতে থাকা মোবাইলটি দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারি। তাহলে চলুন আজকের আলোচ্য বিয়য়টি শুরু করি।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকামঃ-

১৯৮৩ সালে আধুনিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের হওয়ার পর শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক পর্যারে এর ব্যবহার হতো। নব্বই দশকের পর থেকে ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট প্রযুক্তিটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

পরিসংখ্যান সংস্থা Statista এর তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের ৫৯ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেটকে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যবহার করছে। বিজ্ঞানীরা বিগত দুই যুগে এমন সব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে যায় ফলে ইন্টারনেটের সহযোগিতায় দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ-ই সম্পুর্ণ করা যাচ্ছে।

যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিনোদন, শিক্ষা, কেনাকাটা এমনকি ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করাও সম্ভব হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান Payoneer এর ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, Freelance শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের Freelance পেশা জীবিরা অনলাইনে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।

এমন অনেক প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম রয়েছে যা সম্পন্ন করতে সরাসরি কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন পড়ে না। ইন্টারনেটের সহযোগিতায় কাজগুলো যেকোনো জায়গা বা বাসায় থেকেই করা যায়। এছাড়া ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। যাদের শতভাগ কার্যক্রম ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়।

এ সকল কাজ সম্পন্ন করতে একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ-ই যথেষ্ট। তবে স্মার্ট ফোনের ব্যবহারের সাথে সাথে কম্পিউটারের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে স্মার্টফোন দ্বারা অনলাইনে কাজ করা নানা কর্মক্ষেত্র।

এই পোস্টে তেমনি কিছু ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যে কাজ গুলো আপনি আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করেই করতে পারবেন। চলুন একটি একটি করে সেই কাজগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

আরও পড়ুন- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার সেরা উপায়

ভিডিও তৈরি করাঃ-

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি মাধ্যমের সাথে আমরা বেশ পরিচিত। যথা- YouTube এবং Facebook. Facebook থেকে যদিও পূর্বে তেমন ইনকাম করা যেতো না। তবে, বর্তমানে Facebook-ও YouTube-এর মতো ভিডিও প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এবং অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে Facebook-এ ভিডিও তৈরিকারীগণ ভাল টাকা ইনকাম করছে। আর YouTube সম্পর্কে হয়ত আপনি অলরেডি অবগত আছেন।

বর্তমানে আমরা কম বেশি সকলেই YouTube এবং Facebook-এ বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। কেউ বিনোদন পাবার জন্য আবার কেউ কোনোকিছু শিক্ষার উদ্দেশ্যে। আপনি নিজেও আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ভিডিও রেকর্ড করে সেটি YouTube অথবা Facebook-এ আপলোড করে ভাল পরিমাণের টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আপনার আশেপাশে খুঁজলে হয়ত এরকম অনেককেই পেয়ে যাবেন যারা এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে এবং বেকারত্ব দূর করছে। এমনকি অনেকেই রয়েছে যারা নিজের ও নিজ পরিবারের ভরণপোষন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মিটাতে সক্ষম হচ্ছে।

মোবাইলফোন ফটোগ্রাফিঃ-

আলোক চিত্রশিল্পীদের জন্য মোবাইল ফটোগ্রাফি হতে পারে অনলাইনে কাজ করা অন্যতম একটি মাধ্যম। বর্তমান সময়ে আলোক চিত্র ধারণ করার জন্য দামী ক্যামেরা প্রয়োজন পরে না। সকল স্মার্টফোনে-ই যথেষ্ট উন্নতমানের ক্যামেরা সংযুক্ত থাকে। যা দ্বারা উন্নতমানের আলোকচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ধারন করা যায়।

ইন্টারনেটে Stock ফটোগ্রাফির খুব চাহিদা রয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসহ আরও নানা প্লাটফর্মে Stock ফটো ব্যবহার করা হয়। Shutter stock ও iStock-এর ফটো অনেক জনপ্রিয়। এসকল Marketplace-এ উচ্চ মানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।

তবে এসকল Marketplace গুলোতে নিজস্ব ধারণকৃত ছবি সমূহ বিক্রয় করতে উন্নত ও দামী ক্যামেরার প্রয়োজন পড়ে। তাই সকলের পক্ষে এই Marketplace গুলোতে কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

কিন্তু এগুলো ছাড়াও এমন আরো অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে স্মার্টফোন দ্বারা ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিক্রি করা যায়। সেরকম একটি জনপ্রিয় App হচ্ছে Foap.

এই Appটির সহযোগিতায় আপনি আপনার স্মার্টফোন দ্বারা ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ফুটেজগুলো বিক্রয় করতে পারবেন। App টি প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। ডাউনলোড করতে নিচ থেকে ইনস্টল করুন-এ ক্লিক করে Apps টি install করে নিতে পারেন।

পণ্য ফটোগ্রাফিঃ-

পূর্বের আলোকচিত্র মোবাইল ফটোগ্রাফির মতো পণ্যের ফটোগ্রাফিরও চাহিদা রয়েছে। তবে এ দুটির মধ্যে বিশেষ একটি পার্থক্য হলো মোবাইল ফটোগ্রাফি যেকোনো বিষয়ে হতে পারে। আর পণ্যের ফটোগ্রাফি শুধু মাত্র ই-কমার্স প্লাটফর্ম গুলোকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। যারা অনলাইনে পণ্য সেবা বিক্রয় করছে।

অনলাইনে পণ্য সেবা ক্রয় বিক্রয় পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিনিয়ত প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে নতুন নতুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। যারা ওয়েবসাইট ও Apps এর মাধ্যমে তাদের পণ্য সমূহ প্রদর্শন করে থাকে। আর পণ্য গুলোকে প্রদর্শন করার জন্য প্রয়োজন হয় পণ্যের যথাযথ ফটোগ্রাফি। যেন গ্রাহকরা ছবিগুলো দেখে পণ্যের গুনগত মান সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে।

তাই ই-কমার্স শিল্পে পণ্য ফটোগ্রাফি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আপনার স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে সে ধরনের অনলাইন শপগুলোকে ফটোগ্রাফিতে সহযোগিতা করার মাধ্যমে কাজ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠান গুলোর ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইজে যোগাযোগ করার মাধ্যমে পণ্য ফটোগ্রাফি সেবাটি তাদের অফার করতে পারেন।

আরও পড়ুন- অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারনা

ফ্রিল্যান্স লেখকঃ-

লেখকদের চাহিদা অনলাইনে সব সময় ছিল থাকবে এমনকি দিন দিন এর চাহিদা আরও বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। Flexjobs এর একটি জরিপে দেখা যায় Full Time একজন লেখক বছরে প্রায় ২০ হাজার ডলার আয় করে থাকে। ইন্টারনেটে অসংখ্য ব্লগ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল প্রকাশ হয়ে থাকে। যেমনঃ রাজনীতি, অর্থনীতি, বানিজ্য, খেলা-ধুলা, প্রযুক্তিসহ এমন আরো নানা বিষয়।

এগুলোর যেকোনো একটিতে ধারণা থাকলে সেসকল ওয়েবসাইট গুলোতে Freelance লেখক হিসেবে কাজ করা যায়। এছাড়াও অনেক প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে তাদের পণ্য সেবার সুবিধা অসুবিধা গুলো বিবরণ প্রকাশ করতে কৌশলী লেখকদের নিযুক্ত করে থাকে।

যেকোন স্থান থেকে লেখা লেখির কাজ সম্পন্ন করা যায় বলে সরাসরি কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন পড়ে না। আপনি বাংলা অথবা ইংরেজি যেকোনো ভাষাতেই একটি নিদিষ্ট বিষয়ের উপর লেখক হিসেবে আপনার স্মার্টফোন দ্বারা কাজ করতে পারেন।

সংশোধনী লেখকঃ-

সংশোধনী লেখকরা মূলত সহকারী লেখক হিসেবে কাজ করে থাকে। এই পেশাটি পূর্বের উল্লেখিত Freelance Writing কর্মক্ষত্রের একটি অংশ। English Grammar বা বাংলা ব্যাকরণে ভাষা সম্পর্কে আপনার ভালো জ্ঞান থাকলে এই পেশাটি আপনার জন্য উপযুক্ত একটি কর্মক্ষেত্র হতে পারে।

পেশাদার লেখকরা তাদের আর্টিকেলের বানান ও ব্যাকারণগত ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে সহকারী লেখক নিযুক্ত করে থাকে। যাদের কাজ হচ্ছে লিখিত কন্টেন্ট গুলোর বানান ও ব্যাকরণগত ভুল খুঁজে বের করে তা ঠিক করা। এই ক্ষেত্রে লেখালেখি করার প্রয়োজন হয় না। বরং লিখিত কন্টেন্ট গুলোর ভুল ত্রুটিগুলো সঠিক করে দিতে হয়।

ই-কমার্স স্টোর ব্যবস্থাপনাঃ-

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ই-কমার্স হচ্ছে বানিজ্য পরিচালনার আধুনিক পদ্ধতি। ইন্টারনেটে মানুষের সকল এক্টিভিটির মধ্যে অনলাইন কেনাকাটা অতন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপী ক্রয়-বিক্রয় এই পদ্ধতিটি বহু পূর্বে থেকে প্রচলিত থাকলেও আমাদের দেশে বিষয়টি এখনও নতুন।

তবে ইন্টারনেট প্রসার ঘটার সাথে সাথে নতুন পুরাতন সকল প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের মাধ্যমে তাদের বাণিজ্য পরিচালনা করতে শুরু করেছে। ফলে পোশাক, ইলেকট্রনিক, গ্রোসারি, স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরনের পণ্য সেবাই অনলাইনে গ্রাহকরা গ্রহন করতে পারছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত কয়েক বছরে অনলাইনে কেনাকাটা আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। যা হযতোবা ইতিমধ্যেই আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে সফটওয়্যারের ব্যবহার হয়ে থাকে। যে সফটওয়্যারগুলোর সহযোগিতায় গ্রাহকরা সরাসরি ওয়েবসাইট বা App এর মাধ্যমে পণ্য সমূহ অর্ডার করতে পারে।

সে সকল সফটওয়্যারগুলো পরিচালনা করার জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো স্টোর ম্যানেজার নিযুক্ত করে থাকে। আপনি যদি সে ধরনের ই-কমার্স সফটওয়্যার ব্যবহারে নিজেকে পারদর্শী করতে পারেন তাহলে এই সম্পর্কতি কাজগুলো করার মাধ্যমে রোজগার করতে পারেন।

যেমন স্টোরে পণ্য আপলোড করা, পণ্যের ছবি ও বিবরণ যুক্ত করা, অর্ডার গুলো ব্যবস্হাপনা করা ইত্যাদি। ই-কমার্স পদ্ধতিটি বিশ্বজুরে জনপ্রিয় হওয়ায় এই সম্পর্কে কাজের পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ্রাহক সেবা প্রতিনিধিঃ-

বন্ধুদের সাথে অনলাইনে চ্যাটিং করা বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে একটি অংশ হয়ে পৌছেছে। কেমন হয় যদি একি কাজটি করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়?। যদি চ্যাটিং করতে স্বাচ্ছন্ধ্যবোধ করেন তাহলে এই পেশাটি আপনার জন্য উপযুক্ত।

অনলাইনের কাজগুলোর মধ্যে গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি পেশাটি অনেক জনপ্রিয়। কারণ প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের একটি গ্রাহক সেবা বিভাগ থাকে। যে বিভাগটির কাজ হচ্ছে গ্রাহকদের পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দ্বারা সহযোগিতা করা। পেস্কেলের তথ্য মতে, অনলাইনে একজন গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি গড়ে প্রতি ঘন্টায় ৮ থেকে ১৬ ডলার পর্যন্ত রোজগার করে থাকে।

এই কর্মক্ষেত্র নিয়োগ দাতা হিসেবে ডমিন্যান্ট পিজা, ফারমার্স ইনসুরেন্স ও ইউনাইটেড হেল্থের মতো প্রতিষ্ঠান গুলো পেস্কেলের শীর্ষে রয়েছে। জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডগুলো ছাড়াও বর্তমানে ছোট-মাঝারি নতুন অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর ও সমস্যা গুলো সমাধান দিতে Support প্রতিনিধি নিয়োগ করছে। ফলে এ কর্মক্ষেত্র কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।

কাজটি অনেকটাই বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করা মতো। তবে পূর্বে যেখানে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কাজগুলো করা হতো এখানে সেটি পেশাগত কাজে প্রতিষ্ঠানের হয়ে করতে হবে। স্মার্টফোনে থাকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ও ইমেইলের App গুলো ব্যবহার করেই গ্রাহক সেবা প্রতিনিধির কাজ করতে পারবেন।

ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনাঃ-

একটু ভেবে দেখুন তো, অনলাইনে কোন বিষয়টি বেশি নজর কারে? অবশ্যই বিজ্ঞাপন। যেখানেই ভিজিট করবেন সেখানেই বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিমাসে বড় একটি বাজেট থাকে। এ মার্কেটের জরিপে দেখা গিয়েছে বিশ্বব্যাপী শুধুমাত্র ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠান গুলো Google AdSense-এ প্রায় ১০৩ বিলিয়ন ডলার বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে Facebook, যেটির পরিমাণ প্রায় ৬৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া Statistic-এর তথ্য মতে ২০১৮ সালে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলো বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮৩ বিলিয়ন ডলার যা ২০২৩ সাল নাগাদ ৫১৭ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন গুলো ব্যবস্থাপনা করতে প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ করে থাকে।

যারা প্রতিষ্ঠানের হয়ে তাদের পণ্য সেবাগুলো ডিজিটাল মিডিয়া যেমনঃ ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও YouTube-এ প্রচার করে থাকে। স্মার্টফোনকে ব্যবহার করে সে সকল বিজ্ঞাপনগুলো ব্যবস্থাপনা করা যায়। তাই ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাতেও স্মার্টফোন দ্বারা কাজ করা যেতে পারে। যেটি আমরা প্রথমেই আলোচনা করে এসেছি।

বাজার গবেষণাঃ-

আপনি কি জানেন? আপনি শুধু গবেষণা করেই ভালো মানের টাকা আয় করতে পারেন। বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর নিজস্ব আরেন্টি বিভাগ থাকে। যে বিভাগটির কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের নানা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা করা। বাৎসরিক উপার্জনের অনেক বড় একটি অংশ তাদের রিচার্স ও Development এর উপর বিনিয়োগ করে থাকে।

কিন্তু এমন অনেক ছোট ও মাজারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যায়া বিনিয়োগের স্বল্পতায় নিজস্ব আরেন্টি বিভাগ পরিচালনা করতে পারেনা। এছাড়াও অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত যাত্রা শুরু করছে তাদেরও বাজার গবেষণা করা প্রয়োজন পড়ে। এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো Freelance বাজার গবেষকদের চুক্তি নিয়ে থাকে।

যারা সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়ে এক বা একাধিক নিদিষ্ট বিষয়ের উপর রিচার্স করে তার প্রতিবেদন তৈরি করে দেয়। গবেষণা সম্পর্কে কাজগুলো করতে কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়ে না স্মার্টফোন দ্বারাই করা যায়। হয়তো আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে অজান্তেই প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন।

ঠিক এই দক্ষতাটি যদি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে দিতে পারেন তাহলে সে সকল প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। Freelance Marketplace গুলোতে বাজার গবেষণা সম্পর্কে অনেক কাজ রয়েছে সে ক্যাটাগরি গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের Freelance পেশাজীবিরা এভাবে গবেষণা সম্পর্কে কাজ করে যাচ্ছে।

ভাষা শিক্ষাদানঃ-

ইংরেজিতে স্বাভাবিক ভাবে অনর্গল কথা বলতে পারলে এই পেশাটি আপনার জন্য একদম উপযুক্ত। অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে স্মার্টফোনকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে ভাষায় প্রশিক্ষণ করা যায়। সেরকম একটি জনপ্রিয় App হচ্ছে Nice Talk Tutor. এটি একটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা মোবাইল App যা শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা শিক্ষাতে ব্যবহার করে থাকে।

এই App টির মাধ্যমে আপনি শিক্ষক হিসেবে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি ঘন্টার জন্যে শিক্ষকদের ১০ ডলার করে পেমেন্ট করে থাকে। ILTS সনদ ধরা প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হওয়া যাবে। যেকোন স্থান হতে একটি স্মার্টফোন ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রশিক্ষক হিসেবে করে করা যাবে। App টি ডাউনলোড করতে নিচ থেকে ইনস্টল করুন-এ ক্লিক করে Apps টি install করে নিতে পারেন।

বন্ধুরা, আশা করছি স্মার্টফোন দ্বারা ইন্টারনেটের সহযোগীতায় কি কি ধরনের কাজ করা যেতে পারে এবং মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই লাইক দিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোস্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———- ধন্যবাদ! ———-

About Bondhu24

Check Also

How to be smart

How to be Smart? Smartness 12 Tips

Becoming “smart” or intelligent is a process that involves continuous learning, critical thinking, and developing …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *