Breaking News

অনলাইন থেকে টাকা আয় করার ১০টি সহজ উপায় । 10 Easy Ways to Make Money Online

অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় এটি এখন আমরা সকলের জানি। কিন্তু কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় সেটি অনেকেই জানিনা। যার ফলে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও আগ্রহ থাকলেও অনেকেই বাস্তবিকভাবে টাকা আয় করতে পারছিনা। যারা অনলাইন থেকে টাকা আয় করার উপায় খুজছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারী হবে।

অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। আমরা অনেকেই সঠিক উপায় সম্পর্কে না জানার কারণে অধীর আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারছিনা। আজকের আর্টিকেলে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সহজ ও জনপ্রিয় ১০টি উপায় সম্পর্কে আলোনা করা হয়েছে। যদি আপনি আজকের পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আশা করছি ইন-শা-আল্লাহ আপনিও অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

প্রথমেই বলে রাখছি বতর্মান প্রযুক্তির ছোয়ায় আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করেই অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। নিচে যেসকল উপায়সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে এসকল পদ্ধতিতে আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো ডিভাইস থেকেই অনলাইন কাজ বা টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে আপনাদের মনে রাখতে হবে, অনলাইনে টাকা আয় মানে ফেসবুকিং, চ্যাটিং, ইউটিউবে ভিডিও দেখা বা গেম খেলা নয়। আমাদেরকে অবশ্যই অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হলে ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে হবে এবং আমরা যেই কাজটি করব সেটি অবশ্যই প্রফেশনাল ও স্থায়ী হবে।

একটু ভেবে দেখুন, বর্তমান চাকরির বাজারে একটি চাকরির জন্য আমাদের কতইনা কষ্ট করতে হয়? হাজারও কষ্ট, সময় ও টাকা নষ্ট করার পর আমরা অনার্স/ডিগ্রি, মাস্টার্স কমপ্লিট করার পরও একটি চাকরির বন্দোবস্ত করতে পারিনা। আর যদিও সম্ভব হয় সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রয়োজন পড়ে অন্যথায় প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে ১০-১৫ হাজার টাকার জন্য দিনের পর দিন খেটে যেতে হয়। সুতরাং অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হলেও আমাদের কিছুটা সময়, ধৈর্য পরিশ্রম দিয়ে লেগে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার সেরা উপায়

অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায়ঃ-

১. ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিংঃ-

সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হচ্ছে ব্লগিং করে টাকা আয় করা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথবীতে অনেক মানুষই ব্লগিং করে টাকা আয় করছে। যদি আপনার কম্পিউটার না থাকে তাহলেও আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ব্লগিং করতে পারবেন। তবে, কম্পিউটারে কাজ করা যতটুকু সহজ হবে মোবাইল দিয়ে কাজ করা ততটুকু সহজ হবে না। কিন্তু কিছুটা কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে কাজ করতে করতে আপনার নিকট সহজ হয়ে উঠবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে ব্লগিং কি, এটা কিভাবে শুরু করব?

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হলো নিজের ডায়রি লেখার মতো। আপনি যা জানেন তা ডায়রিতে লেখার পরিবর্তে ব্লগে বা অনলাইন ওয়েবসাইটে লিখবেন। আপনি যে এই পোস্টটি পড়তেছেন এটাও একটি ব্লগ। সাধারণত সহজ ও এক কথায় বলতে গেলে অনলাইনে লেখালেখি করার নাম-ই ব্লগ।

আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী লেখালেখি করতে পারেন। যদি আপনার খেলাধুলা বা ভ্রমণ সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে সেটি নিয়েই শুরু করতে পারেন। আপনি যেই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দক্ষ সেটি নিয়ে ব্লগিং শুরু করাই সবচেয়ে উত্তম হবে। যেই বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান নেই বা দক্ষ নন সেটি নিয়ে কাজ করতে গেলে কিছুদিন পর আপনার আগ্রহ থাকবেনা বা অলসতা চলে আসতে পারে অথবা দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারবেন না। ফলে কাঙ্খিত ফলাফল না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়বেন।

মনে করুন, আপনি খেলাধুলা, ভ্রমণ, শিক্ষা, জীবন উন্নয়ন মুলক উক্তি, বিনোদন, রান্না-বান্না ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। তাহলে আপনাকে এখান থেকে যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে আর এটাকে ইংলিশে Niche (নিশ) বলা হয়ে থাকে। যেহেতু মানুষ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে এর সাথে জড়িয়ে আছে সুতরাং এই মূহুর্তে ব্লগিং সত্যিই খুবই উপযোগী।

এবার আসা যাক কোথায় লেখালেখি করবেন। ব্লগিং করার জন্য আপনি ফ্রিতে বা কিছু টাকা খরচ করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। তবে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব যদি টাকা খরচ করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই কিছু টাকা খরচ করে নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে নিবেন। তারপর সেখানে আপনার দক্ষতানুযায়ী লেখা-লেখি শুরু করুন। চাকরি অথবা ব্যবসা সবকিছুতেই টাকার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এখানেও আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।

আরও পড়ুন- ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায়

২. ইউটিউবিং করাঃ-

আপনি চাইলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন এবং এটিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই সম্ভব। মনে করুন, আপনি ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তাহলে আপনি কিভাবে ভ্রমন করছেন কোথায় কোথায় কি প্রকৃতিক ও মানুষের তৈরি সৌন্দর্য রয়েছে তা ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন।

বর্তমানে অসংখ্য মোবাইল ভার্সন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে যা দিয়ে আপনি খুবই সহজে আপনার ভিডিওগুলো এডিট করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন। অনেক ইউটিউবার রয়েছেন যারা শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে ভাল টাকা আয় করছেন পাশাপাশি নিজেকে বেকারমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলছেন। তবে অন্য কারও কন্টেন্ট বা ভিডিও কপি করে আপলোড করবেন না তাহলে কপিরাইট স্ট্রাইক চলে আসবে।

আপনি চাইলে ঘরে বসেও এই কাজটি করতে পারেন। ক্যামেরার সামনে বসে যেকোনো বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ক্যামেরার সামনে আসতে না চাইলে বিভিন্ন স্লাইট ভিডিও বা স্ক্রিন রেকর্ড করে বিভিন্ন ধরনের টিউটরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারেন। একটা সময় আপনার চ্যানেল মনটিাইজেশন চালু হবে, ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং এভাবেই ইউটিউব থেকে আপনার টাকা আয় হতে থাকবে।

৩. ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়ঃ-

ইউটিউবের মতো ফেসবুকও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে হলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে আপনাকে অবশ্যই একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে এবং সেখানে ইউটিউবের মতো ভিডিও আপলোড করতে হবে। তবে ফেসবুকে টিউটরিয়াল ভিডিওর চেয়ে বিনোদন, তথ্যবহুল ভিডিওর চাহিদা বেশি রয়েছে। একটা সময় ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওতেও বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং সেটির বিনিময়ে আপনার টাকা আয় হবে।

তাছাড়া যদি আপনার ভিডিওগুলি এরকম হয়ে থাকে যে সেটি ফেসবুকের পাশাপাশি ইউটিউবেও আপলোড করা যাবে, তাহলে আপনি একটি মাত্র কাজ করে দুটি প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

৪. ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ঃ-

“অনলাইন থেকে টাকা আয়” এটির অপর নামই হলো ফ্রিল্যান্সিং। অনলাইনে এটির অসংখ্য জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং এটির মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ভাল একটি এমাউন্ট আয় করতে পারবেন। যা দিয়ে শুধুমাত্র আপনি নন আপনার পরিবারের খরচও মিটাতে সক্ষম।

এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে ফ্রিল্যান্সিং কি, এটি কিভাবে করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি….

ফ্রিল্যান্সিং কি?

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যিনি নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে। ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজ দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সারের নির্দিষ্ট কোন পারিশ্রমিক থাকে না। আবার কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বা বাধ্যকতাও থাকে না।

ধীরে ধীরে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা প্রসার হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে না। তবে, কিছুটা ইংরেজি জানা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন- অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারনা

৫. আর্টিকেল রাইটিংঃ-

যদি আপনি একজন ভাল লেখক হয়ে থাকেন বা লেখালেখি করতে ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর কাজটি করতে পারেন। আপনি যে এই পোষ্টটি পড়ছেন এটি হলো একটি আর্টিকেল। এই ধরনের আর্টিকেলের প্রতি যদি আপনার ধারনা বা আগ্রহ থাকে তাহলে আপনিও খুবই সহজে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।

সহজে বলতে গেলে যেকোনো বিষয়ের উপর লেখালেখি করাকেই আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়ে থাকে। এটি হতে পারে শিক্ষা বিষয়ক, বিনোদন, মোটিভেশনাল, ভ্রমণ, কারোর জীবন-বৃত্তান্ত, টিপস এন্ড ট্রিক্স, খেলাধুলা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। এটি অনেকটা উপরের ব্লগিং এর মতো। তবে, আর্টিকেল রাইটিং হতে পারে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের জন্য বা অন্য কারোর জন্য।

অনলাইন মার্কেট প্লেসে আর্টিকেল রাইটিং কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে যেকোনো কোম্পানির হয়ে তাদের দেওয়া বিষয়বস্তুর উপর রাইটিং এর কাজ করতে পারেন অথবা চাইলে নিজেই একটি ব্লগসাইট তৈরি করে সেখানে আর্টিকেল লিখে টাকা আয়ের পথ সুগম করতে পারেন। যদি আপনি ইংরেজি ভাষায় আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে ফ্রিলান্সিং মার্কেটে এটির আরও বেশি চাহিদা রয়েছে। এমনকি আপনি চাইলে এটিকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবেও গ্রহণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন- ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় | কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়

৬. গেম প্লেয়িং:-

অনেকেই আছেন যারা গেম খেলতে ভালবাসেন। আর সেটার বিনিময়ে যদি কিছু টাকা আয় করা যায় তাহলে মন্দ কি? বর্তমান সময়ে অনেকেই গেম খেলে বা লাইভ গেম স্ট্রিম করে প্রচুর টাকা আয় করছে। হয়ত কয়েক বছর পূর্বে এটি ভাবতে পারেনি যে, গেম খেলে টাকা আয় করা যাবে। কিন্তু বর্তমানে এটি অনেক বড় একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে পরিণত হতে চলেছে। সুতরাং যদি আপনি গেম খেলতে ভালবাসেন তাহলে এখনই ইউটিউব বা ফেসবুকে গেইমিং নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

৭. ই-কমার্সঃ-

অনলাইন থেকে টাকা আয়ের আরও একটি ভাল এবং অন্যতম মাধ্যম হলো ই-কমার্স। বর্তমানে মানুষজন সময়ের এতো বেশি কদর করতে শিখে গেছে যে, টাকার বিনিময়ে সময় কিনতে চায়। সময় বাঁচানোর জন্য মানুষ এখন অনলাইনে নির্ভর হয়ে পড়ছে, অনলাইন থেকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-কাটা করছে। বলা যায় এটি অনেকটা সৌখিনতা।

ই-কমার্স বলতে সাধারণ অর্থে অনলাইন থেকে কেনা-কাটা করাকেই বুঝে থাকি। আপনি চাইলে নিজেও একটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ খুলে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। এখানে আপনাকে বিশ্বস্ত হওয়া জরুরি এবং একবার বিশ্বস্ত হতে পারলে আপনার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত আলোকিত হয়ে যাবে। এটি হতে পারে যেকোনো ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। অফলাইনে দোকানের পরিবর্তে আপনি অনলাইনে দোকান দিবেন এবং আপনার কাস্টমার হবে সমগ্র দেশের যেকোনো লোকেশনের মানুষজন।

আরও পড়ুন- ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা কয়েকটি টিপস

৮. ফটোগ্রাফিঃ-

যদি আপনি ভাল মানের ছবি তুলতে পারেন অথবা ছবি তোলা আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার তোলা ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। যদি আপনি একজন ভাল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেকোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দী করে অনলাইনে বিক্রি করে প্রতি মাসে একটি ভাল পরিমাণের টাকা আয় করতে পারেন। অনেকেই এই প্রফেশন থেকে প্রতি মাসে $২০০-$৩০০ ডলার আয় করছে।

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় কিছু ইমেজ সেলার ওয়েবসাইটের নাম-

 ৯. অনলাইন টিচারঃ-

আপনি যদি কলেজ বা ভার্সিটির স্টুডেন্ট বা শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো আপনি টিউশনির সাথে কমবেশি জড়িত রয়েছেন। বর্তমানে এই টিউশনির কাজটি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করা যাচ্ছে এবং এটির বেশ ভাল জনপ্রিয়তা ফুটে উঠেছে। তাছাড়া পূর্বকাল করোনা মহামারির প্রভাবে এটির প্রচার আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপনি চাইলে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে টিউটরিয়াল বা লাইভের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারেন। অথবা আপনি ফেইসবুক পেজ খুলে সেখানেও এই কাজটি করতে পারেন। যদি আপনার কোনো বিষয়ে ভাল দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনিও হয়ে যেতে পারেন একজন অনলাইন শিক্ষক এবং অপনিও ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

১০. ই-বুকঃ-

এটিও এক প্রকার অনলাইন টিচার এরই মতো। আপনি যা যানেন তা একটি পিডিএফ ফরম্যাটে তৈরি করবেন তারপর সেটি আপনার নিজের বা অন্য যে কারোর পিডিএফ সেলার ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারবেন। যদি আপনি ভাল মানের লিখা উপহার দিতে পারেন তাহলে খুবই অল্প সময়ে আপনি পরিচিত হয়ে উঠতে পারেন। বই সাথে নিয়ে বহন করার চেয়ে মোবাইলে রেখে দেওয়া অনেক সহজ হওয়ায় এটি অনেকটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

বন্ধুরা, আশা করছি কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় সেই বিষয়ে কিছুটা হলেও আপনাদের ধারণা দিতে পেরছি। সর্বশেষ আরও একটি কথা বলব যদি আপনার প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে যেকোনো প্রফেশন থেকেই আপনি সফল হতে পারেবেন। শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে ধৈর্য্য-ধারন করে লেগে থাকা। আপনাদের সকলের সফলতা কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———– ধন্যবাদ! ———–

About Bondhu24

Check Also

গুগল এডসেন্স ভেরিফাই করার সঠিক নিয়ম

গুগল এডসেন্স ভেরিফাই করার সঠিক নিয়ম | Google Adsence Verify System

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করা যায় এটি হয়তো আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু টাকা আয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *