Breaking News

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক, মালিকানা পরিবর্তন ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক, মালিকানা পরিবর্তন ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম! সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক করা প্রত্যেকের জন্য খুবই জরুরি বিষয় যেটি সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তথ্য-প্রযুক্তির যুগে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করি। প্রযুক্তির উন্নয়েন ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে এখনও সিম কার্ড ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সিম কার্ডের মাধ্যমে খুবই সহজে একজন অন্য জনের নিকট এক প্রান্ত থেকে অন্য যোকোনো প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারে।

অনেক সময় বিভিন্ন কারনে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হতে পারে। সেই সময় আমাদের নিকট যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যম থাকে সিম কার্ড। তাই বলা যায় যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাধ্যম হলো এই সিম কার্ড।

সিম কার্ড কি?

সিম কার্ড বা SIM একটি স্মার্ট পরিচয় ব্যবস্থা। এর পূর্ণরুপ হলো – ’’সাবসক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল’’ (Subscriber Identity/Identification Module) যার বাংলা অর্থ ‘গ্রাহক পরিচিতি মডিউল’। এটি একটি সমন্বিত বর্তনী (Integrated Circuit) যা মোবাইল ফোনের জন্য প্রয়োজনীয় ‘সার্ভিস সাবসক্রাইবার কী’ (Service-subscriber Key (IMSI)) এর সাথে সংযুক্ত।

সিম কার্ড আকারে ছোট হলেও এটি ব্যবহারের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ন। এটিতে ছোট্ট একটি চিপ লাগানো থাকে যেটির মাধ্যমে এটি থেকে পাওয়া কোনো যোগাযোগের অর্ডার নিকটবর্তী টাওয়ারে নিকট স্থান্তর করে আবার অন্য টাওয়ার থেকে পাওয়া অর্ডারের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেথাকে।

আরও পড়ুন- বাংলালিংক সিমে ফ্রি ইন্টারনেট

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন কি?

একটা সময় ছিল যখন যেকেউ সিমের মূল্যের বিনিময়ে যেকোনো সিম ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারতো। এই পদ্ধতিতে অনেকেই সিম কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ সম্পাদন করতো। প্রযুক্তির দুর্বলতা ও অপব্যবহার রোধ করতে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় কেউ সিম কার্ড ক্রয় করতে চাইলে নিজস্ব এনআইডি (NID) কার্ড বা পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করেতে হয়। যার ফলে কোনো সিম কার্ড ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে সেই সিমের মালিককে সনাক্ত করা ও অপরাধের আওতায় আনা যায়।

২০১৯ সালের পূর্বে একটি এনআইডি (NID) কার্ড বা অন্যান্য ডকুমেন্ট ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি আনলিমিটেড সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পেতো। এতেও কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হবার আশঙ্খায় সিম রেজিস্ট্রেশন সীমিত করা হয়।

২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন) এর একটি নোটিশে বলা হয়, একই ব্যাক্তির এনআইডি (NID) কার্ড বা অন্যান্য ডকুমেন্ট ব্যবহার করে যদি ১৫টির অধিক সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই নোটিশ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যেকোনো অপারেটর এর র্বোচ্চ ১৫টি সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন কতটুকু জরুরি?

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেই সিম কার্ডটি ব্যবহার করছেন সেটি রেজিস্ট্রেশন না হয়ে থাকলে অতি দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে নয়তো যেকোনো সময় সিমটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যদিও বর্তমান সময়ে রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কোনো সচল সিম নেই। তবুও আপনি যেই সিমটি ব্যবহার করছেন তা যাচাই করে নিবেন।

যদি আপনার ব্যবহৃত সিমটি রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে সিম কার্ডটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন আছে। অন্য কারো নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম কার্ড ব্যবহার করা আরও বেশি বিপদজনক।

মনে করুন, আপনি একটি সিম কার্ড ব্যবহার করছেন যেটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন আছে সেটি আপনি জানেন না। একটা সময় আপনি সিম কার্ডের এই নম্বরটি আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা অন্য কোনো পার্সোনাল কাজে ব্যাবহার করলেন। এতে করে আপনার ব্যাংক একাউন্টটি কিন্তু পুরোপুরি সিকিউর নয়।

আবার এমনও হতে পারে, এই সিম কার্ডের মাধ্যমে কোনো ধরনের অপরাধ কাজ সম্পন্ন করার পর আপনি এটি ব্যবহার করছেন। ফলে যেকোনো সময় সেই অপরাধের জালে আটকে পড়ে যেতে পারেন। কিংবা যেকোনো সময় সিমটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই, অন্য কারো নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম কার্ডও ব্যবহার করা ‍উচিত নয়।

আবার নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম কার্ড যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে সেটিও আপনার জন্য অনেক বেশি বিপদজনক। আপনার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত কোনো সিম অন্য কেউ ব্যবহার করে যদি কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ সম্পন্ন করে থাকে। তাহলে সেই অপরাধের শাস্তি আপনাকেও ভোগ করতে হতে পারে।

সুতরাং বুঝতে পারলেন তো সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন কতটুকু জরুরি? আপনি যেসকল সিম কার্ড ব্যবহার করছেন তা আপনার কিংবা আপনার পারিবারের কারোর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন থাকা প্রয়োজন। কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্যবহৃত সিমটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন আছে, কিংবা আপনার নামে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে? সেটি জানতে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

আরও পড়ুন- গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায়

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মঃ-

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, আমার ব্যবহৃত সিমটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে কিংবা আমার নামে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে? এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম জানা জরুরি। সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে।

  • মোবাইলে কোড ডায়াল করে।
  • কাস্টমার সেন্টারের মাধ্যমে।

১. কোড ডায়াল করে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেকঃ-

যেকোনো অপারেটর গ্রাহক ঘরে বসে মোবাইলে কোড ডায়াল করে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক এবং একজন ব্যক্তির নামে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেটি জানতে পারবেন।

প্রথমে আপনার মোবাইলে উক্ত সিমটি লোড করে নিবেন যেটির রেজিস্ট্রেশন চেক করতে চাচ্ছেন। তারপর ডায়াল প্যাড থেকে ডায়াল করুন *16001#. এই কোডটি ডায়াল করার পর পপ-আপ পেজে আপনার এনআইডি (NID) কার্ডের বা অন্যান্য ডকুমেন্টর শেষ চার (৪) ডিজিট বসিয়ে সেন্ড করুন। ফিরতি ম্যাসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার প্রদত্ত এনআইডি কার্ডে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। এমনকি সেগুলো কোন কোন অপারেটর এর এবং সেসকল নম্বরের প্রথম ও লাস্ট তিন (৩) ডিজিট দেখতে পারবেন।

সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক

কিন্তু আপনার দেওয়া এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে যদি উক্ত সিমটি রেজিস্ট্রেশন না হয়ে থাকে তাহলে Mismatched…. এই ধরনের ম্যাসেজ পাবেন। এক্ষেত্রে আবশ্যই আপনার এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেটি জানার জন্য আপনার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত কোনো সিম থেকে কোডটি ডায়াল করতে হবে।

২. কাস্টমার সেন্টারের মাধ্যমে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেকঃ-

কাস্টমার সেন্টারের মাধ্যমে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক বা আপনার নামে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেটি জানারও দুটি পদ্ধতি রয়েছে।

  • হেল্পলান কল সেন্টারের মাধ্যমে।
  • সরাসরি কাস্টমার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে।

1. হেল্পলান কল সেন্টারের মাধ্যমে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেকঃ-

যদি আপনার নিকট সরাসরি কাস্টমার সেন্টারে উপস্থিত হবার মতো সময় বা অপারগতা থাকে তাহলে আপনি অপারেটর হেল্পলাইন কাস্টমার সেন্টারে কল করে উক্ত সেবাটি নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই যেই সিমের রেজিস্ট্রেশন তথ্য জানতে চাইবেন সেই সিম থেকে কল করতে হবে।

পাশাপাশি তারা আরও কিছু তথ্য জানার জন্য প্রশ্ন করতে পারে সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারলে তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে সিম কার্ডটি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে কি না?

তবে এতে কিছুটা সমস্যাও রয়েছে। আপনি যেই অপারেটর হেল্পলাইনে কল করবেন শুধুমাত্র সেই অপারেটর এর কতটি সিম আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেটি জানতে পারবেন। যদি আপনি গ্রামীন অপারেটর হেল্পলাইনে কল করেন তাহলে আপনার নামে কতটি গ্রামীন সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে শুধুমাত্র সেটি জানতে পারবেন। অন্যান্য কোম্পানির কোন সিম বা কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেটি জানতে পারবেন না।

যদি আপনার নামে একাধিক অপারেটর সিম রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে একাধিক অপারেটর হেল্পলাইনে কল দিতে হবে।

তবে, এক্ষেত্রে আরও একটি সুবিধাও রয়েছে। আপনি *16001# কোড ডায়াল করে আপনার নামে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তা জানতে পারলেও পুরো নম্বরটি কখনোই জানতে পারবেন না। কিন্তু এই পদ্ধতিতে আপনি পুরো নম্বর জেনে নিতে পারবেন।

2. কাস্টমার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেকঃ-

যদি কাস্টমার সেন্টারে কল করার মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য জানতে কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি সরাসরি কাস্টমার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে জেনে নিতে পারবেন আপনার নামে কতটি সিম রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে।

এক্ষেত্রেও উপরোক্ত (1) পদ্ধতির ন্যায় কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। আপনি যেই কাস্টমার সেন্টারে উপস্থিত হবেন তারা শুধুমাত্র তাদের কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনকৃত সিমের তালিকা আপনাকে জানাবে। আপনার নামে (অন্যান্য কোম্পানির) মোট কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা কোন কোন নম্বরগুলি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তা জানতে পারবেন না।

সেক্ষেত্রে আপনাকে সকল তথ্য ও সকল নম্বর জানার জন্য অন্যান্য কাস্টমার সেন্টারেও যেতে হতে পারে।

আরও পড়ুন- ঔষধ ছাড়া স্বাস্থ্য ভাল রাখার ২০টি কার্যকরী উপায়

সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন বা সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার নিয়মঃ-

উপরোক্ত যেকোনো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানতে পারার পর যদি আপনি অন্য কারোর রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সিমের আসল মালিকের নিকট সিমটি ফিরিয়ে দিন কিংবা নষ্ট করে ফেলুন।

কিন্তু যদি সিমের মালিক আপনার পরিচিত হয় তাহলে সিমের মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। একইভাবে যদি কেউ আপনার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহার করে এবং সে পরিচিত হয়ে থাকলে তাহার নামে মালিকানা পরিবর্তন করে নেয়াই উত্তম।

মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য আপনি নিজে ও যার নামে পরিবর্তন করবেন দুজনকেই স্বশরীরে এনআইডি কার্ড বা ডকুমেন্ট নিয়ে নিকটস্থ কাস্টমার সেন্টার বা যেসকল দোকানে সিম রিপ্লেসম্যান্ট ও অন্যান্য কাজ করা হয়ে থাকে সেখানে উপস্থিত হতে হবে।

কাস্টামার সেন্টারে থাকা সার্ভিস প্রোভাইডার ১০-২০ মিনিট সময়ের মাধ্যমে আপনার সিমের মালিকানা পরিবর্ত করে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে কিছু ফি লাগতে পারে। সর্বশেষ সিমের মালিকানা পরিবর্তন করার পর পুনরায় *16001# কোড ডায়াল করে সিমের মালিকানা যাচাই করে নিবেন।

সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়মঃ-

অনেক সময় এরকম হয়ে থাকে নিজেদের অজান্তেই অনেকগুলি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়ে আছে যেগুলো সিমের মালিক নিজেও ব্যবহার করছে না এমনকি সে জানেও না এগুলো কে বা কারা কখন রেজিস্ট্রেশন করেছে।

অথবা আপনার নামে যদি অতিরিক্ত কোনো সিম রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে যেটি আপনি ব্যবহার করছেন না এবং আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন থেকে বাতিল করতে চাচ্ছেন তাহলে এই কাজটি আপনি দুই ভাবে করতে পারবেন।

  • কাস্টমার সেন্টারের মাধ্যমে।
  • হেল্পলাইনে কল করার মাধ্যমে।

১. কাস্টমার সেন্টারের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়মঃ-

কাস্টমার সেন্টারের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য আপনাকে এনআইডি কার্ড বা যেটির মাধ্যমে সিমটি রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেই ডকুমেন্টটি নিয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে হবে। তাদেরকে আপনার বিষয়টি বলুন এবং কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার নাম থেকে সিমটি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে।

২. হেল্পলাইনের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়মঃ-

হেল্পলাইনে কল করে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য আপনাকে উক্ত সিম থেকে তাদের অপারেটর হেল্পলাইন কাস্টমার সেন্টার নম্বরে কল করতে হবে। ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করার জন্য আপনার কাছ থেকে কিছু তথ্য জানতে চাইবে।

সকল তথ্যের মিল থাকলে আপনার সিমটি কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার নাম থেকে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে। কিন্তু যদি আপনি সকল তথ্য সঠিকভাবে দিতে ব্যার্থ হোন তাহলে উপরোক্ত (১) পদ্ধতি অনুসারে আপনাকে সরাসরি কাস্টমার সেন্টারে উপস্থিত হতে হবে।

আরও পড়ুন- মণীষীদের শ্রেষ্ঠ বাণী সমূহ

অপরিচিত সিমের মালিক বের করার নিয়মঃ-

আমাদের নিকট অনেক অচেনা নম্বর থেকে কল, ম্যাসেজ বা অন্য কোনো ভাবে আমাদের ক্ষতি করে থাকলে আমরা সেই সিমের আসল মালিককে খোঁজার চেষ্টা করি। অনেকেই অচেনা সেই সিমের মালিক বা সিমটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে সেটি জানতে চান।

আসলে শুধুমাত্র একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সিমের মালিকের পরিচয় জানা আমাদের মতো সাধারণ জনগণের পক্ষে সম্ভব নয়।

একমাত্র প্রশাসনিক বা গোয়েন্দা বাহিনী মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সিমের মালিক বা রেজিস্ট্রেশনকারীর পরিচয় বের করতে সক্ষম। যদি কোনো সাধারণ ব্যাক্তি দাবি করে যে, অচেনা সিমের মালিকের পরিচয় বের করে দিতে সক্ষম তাহলে ভেবে নিন সে মিথ্যে কথা বলেছে।

শেষ কথাঃ- সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক এই বিষয়টি অনেকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করে থাকে। এটি কিন্তু সচেতন ব্যাক্তির কাজ হতে পারে না। সকল ধরনের ঝামেলা এড়াতে আজই আপনার ব্যবহৃত সিমগুলির রেজিস্ট্রেশন চেক করুন ও প্রয়োজনে কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান করুন।

অপরদিকে অনেকের এনআইডি কার্ড না থাকার ফলে নিজেদের এনআইডি ব্যবহার করে বন্ধু বা অন্য কাউকে সিম রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। আর যদি ইতিপূর্বে আপনার নিটত্মায়ী কাউকে সিম রেজিস্ট্রেশন করে দিয়ে থাকেন তাহলে যতদ্রুত সম্ভব সেটির মালিকানা পরিবর্তন করে নিন।

মনে রাখুন, অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করা এবং নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া দুটোই আইনী অপরাধ। কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবার পূর্বে সচেতন থাকুন।

আরও পড়ুন- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার সেরা উপায়

প্রিয় পাঠক, আশা করছি সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক ও এই সংক্রান্ত অন্যান্য সকল বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এর পরেও কোনো কিছু জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্টস করে জানাতে ভুলবনে না।

আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———– ধন্যবাদ! ———–

About Bondhu24

Check Also

১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ

১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ ; যা নিত্যদিন ব্যবহারযোগ্য

আজকের আর্টিকেলে ১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ নিয়ে হাজির হয়েছি যা দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই ব্যবহার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *