বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গ আমাদের আদর্শ। তারা আমাদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ’’শ্রেষ্ঠ বাণী’’ উপহার হিসেবে রেখে গেছেন। যেগুলো আমাদের জীবন চলার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে এবং করবে।
আমাদের উচিত আমাদের জীবন যুদ্ধে তাদের রেখে যাওয়া ’’শ্রেষ্ঠ বাণীসমূহের’’ প্রতিফলন গঠিয়ে সকল বাধা অতিক্রম করে সফলতা লাভ করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা অনেকেই সেসকল ’’শ্রেষ্ঠ বাণী বা উক্তির’’ মর্যাদা দিতে শিখিনি। যদি এসকল ’’শ্রেষ্ঠ বাণী সমূহ’’ আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমরা এই পৃথিবীতে শান্তি খুঁজে সফলকামী হবো।
শুধু দুনিয়াবি নয়, পরকালীন সফলতা লাভ করতে হলেও এসকল ’’শ্রেষ্ঠ বাণী’’ সমূহের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আজকে আমরা বিখ্যাত মণীষীদের রেখে যাওয়া অসংখ্য অগণিত ’’শ্রেষ্ঠ বাণী’’ সমূহ থেকে বাছাই করা কিছু প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী বাণী উল্লেখ করবো। আশা করছি প্রত্যেকেই এসকল ’’শ্রেষ্ঠ বাণী’’ সমূহ পড়ে উপকৃত হবেন।
➤ আরও পড়ুন- জীবনের জন্য ক্ষতিকর কিছু কাজ
মণীষীদের শ্রেষ্ঠ বাণী সমূহঃ-
১. ‘’তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম।’’ – বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)
২. ’’পারিব না একথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার; পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর যতন আবার, একবার না পারিলে দেখ শতবার।’’ – কালীপ্রসন্ন ঘোষ।
৩. ’’যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়।’’ – ডঃ লুৎফর রহমান।
৪. ’’জীবনের প্রতিটি সিঁড়িতে পা রেখে ওপরে ওঠা উচিত। ডিঙ্গিয়ে উঠলে পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি।’’ – হুইটিয়ার।
৫. ’’কখনো ভেঙে পড়ো না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোন রূপে সেটি ঠিকই আবার জীবনে ফিরে আসে।’’ – মাওলানা জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি।
৬. “জীবনকে বদলানোর জন্যে তোমার কেবল একজনকেই প্রয়োজন, আর সেটা হলো স্বয়ং তুমি নিজেই।” – রুমি।
৭. “সবসময় নিজেকে নিজের মতো থাকতে দাও। কোনো সফল কাউকে খুঁজে তার মতো হতে যেও না। তাহলে তোমার নিজস্ব সত্বাটা হারিয়ে ফেলবে খুব তাড়াতাড়ি।” – ব্রুস লি।
৮. “যতদিন মানুষ অসৎ থাকে, ততদিন তার কোনো শত্রু থাকে না, কিন্তু যেই সে সৎ হয়ে ওঠে, তার শত্রুর অভাব থাকে না।” – হুমায়ূন আজাদ।
৯. “আমি বোকা হতে পারি, অনেক খারাপ ছাত্র হতে পারি, দেখতে অনেক কালো হতে পারি, কিন্তু আমার মায়ের কাছে আমিই শ্রেষ্ঠ সন্তান।” – মার্চ এন্ডার।
১০. “ফুল থেকে শিক্ষা নাও প্রফুল্লতা, ঘুঘু থেকে শিক্ষা নাও নম্রতা, মৌমাছি থেকে শিক্ষা নাও শৃঙ্খলা, পিপীলিকা থেকে শিক্ষা নাও কাজ আর মোরগ থেকে শিক্ষা নাও খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা।”
➤ আরও পড়ুন- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার সেরা উপায়
রেদোয়ান মাসুদ এর শ্রেষ্ঠ বাণীঃ-
১. ’’প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হলো দুঃখ। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলুন, দেখবেন আপনার দুঃখও কমে গেছে।’’ – রেদোয়ান মাসুদ।
২. ’’জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোন অবকাশ নেই, যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।’’ – রেদোয়ান মাসুদ।
৩. ’’ভুল থেকেই মানুষ শিখে, কিন্তু সে ভুলটি যেন না হয় জীবনের শেষ ভুল। কারণ এমনও হতে পারে আপনি যে সুযোগটি হাতছাড়া করে ফেলেছেন, সে সুযোগটিই ছিল আপনার জীবনের শেষ সুযোগ।’’ – রেদোয়ান মাসুদ।
৪. ’’সুখে থাকাই জীবনের চরম সার্থকতা নয় বরং কাউকে সুখে রাখতে পারাটাই হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা।’’ – রেদোয়ান মাসুদ।
➤ আরও পড়ুন- ঔষধ ছাড়া স্বাস্থ্য ভাল রাখার ২০টি কার্যকরী উপায়
মণীষীদের আরও কিছু শ্রেষ্ঠ বাণীঃ-
১. ’’অন্যকে বারবার ক্ষমা করো, কিন্তু নিজেকে কখনোই ক্ষমা করিও না।” – সাইরাস।
২. ’’যে নদীর গভীরতা যত বেশি, তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম।’’ – জন লিভগেট।
৩. ’’বন্ধুত্ব একবার ছিঁড়ে গেলে পৃথিবীর সমস্ত সুতো দিয়েও রিপু করা যায় না।’’ – কার্লাইল। অতএব, বন্ধুত্ব কিংবা কোনো সম্পর্ক নষ্ট হবার পূর্বে সেটিকে মূল্যায়ন করুন।
৪. ’’তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তাহলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো।” – লেলিন।
৫. ‘’মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’’ – মুনির চৌধুরী।
৬. ’’অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।’’ – ডেল কার্নেগি।
৭. ’’জীবনে যে অকৃতকার্য হয় নাই, সে কোনো দিন সম্পদশালী হতে পারে না ‘’ – সি. এইচ. স্পারজন।
৮. ’’সমস্যা তোমাকে থামিয়ে দিতে আসেনা। সে আসে যাতে তুমি নতুন পথ খোঁজে পাও।’’ – রবার্ট এইচ।
৯. ’’প্রতিটি শিশুই প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, কিন্তু তা নষ্ট করে সমাজ ব্যবস্থা।’’ – মিশিও কাকু।
১০. “তুমি যত মূল্যবান হবে, তত বেশি তুমি সমালোচনার পাত্র হবে।” – নেলসন ম্যান্ডেলা।
➤ আরও পড়ুন- সবসময় খুশি থাকার উপায় ১০টি কার্যকরি টিপস
আরও কিছু শ্রেষ্ঠ বাণীঃ-
১. “পরের উপকার করা ভাল, কিন্তু নিজেকে পথে বসিয়ে নয়।” – এডওয়ার্ড ইয়ং।
২. “শত্রুর কাছ থেকে মুক্তি পেতে হলে তাকে ভালোবাসো।” – লিও টলস্টয়।
৩. “দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে নেই।” – হুমায়ূন আহমেদ।
৪. “যারা অপেক্ষা করে তারাই পায়। আর তারাই হারায়, যারা তাড়াহুড়ো করে।” – আব্রাহাম লিংকন।
৫. “আমরা অন্য কারও সাথে বন্ধুত্ব করার আগে, আমাদের অবশ্যই প্রথমে নিজের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত।” – রুজভেল্ট।
৬. “যদি আপনার চরিত্র ভাল না হয়, তাহলে আপনি কখনোই মহান হতে পারবেন না।” – মহর্ষি বাল্মীকি।
৭. “আপনি ঝুড়িকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, তাহলে আপনি অনায়াসেই সেই ঝুড়িতে সমস্ত ডিম রাখতে পারবেন।” – ইলন মাস্ক।
৮. “যখন মনে হয় পুরো বিশ্ব আপনার বিপক্ষে, তখন মনে রাখবেন যে, বিমানও বাতাসের বিরুদ্ধে যাত্রা করে!” – হেনরি ফোর্ড।
৯. “পেতে হলে কিছু দিতে হয়। ত্যাগ করতে না চাইলে পাওয়ার আশা অর্থহীন।” – সমরেশ মজুমদার।
১০. “জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার উপশম হয় না। মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়।” – গৌতম বুদ্ধ।
১১. “পাহাড় যত নিকট দেখায়, তত নিকটে নয়।” – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১২. “অতীতকে ছোট করে দেখা উচিত নয়, আবার অতীতকে অতিরিক্ত মুল্য দেয়াও ঠিক না।” – আবুল ফজল।
১৩. “কেউ যদি বলে আপনি ভুল করেছেন তাঁকে বলবেন, ভুল করা দরকার। ভুল না করলে আমি বা আপনি কেউই বেঁচে থাকবো না।” – স্টিফেন হকিং।
১৪. “অন্য মানুষ আপনার জন্যে খুশির ব্যবস্থা করে দেবে, সেই অপেক্ষা করবেন না। নিজের খুশি আপনার নিজেরই খুঁজে নিতে হবে।” – অ্যালিস ওয়াকার।
১৫. “নিজেকে যদি শক্তিশালী করে তুলতে চাও, তাহলে কিভাবে একা থাকতে হয় শিখে নাও।” – কোপার্নিকাস।
১৬. “কোনো কিছুই পূর্বনির্ধারিত নয়। মনের বিশ্বাস থাকলে আপনি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারেন।” – স্টিফেন হকিং।
১৭. “অন্যের অটোগ্রাফ সংগ্রহ করে সময় নষ্ট না করে নিজেকে বরং উপযোগী করে তুলুন, যাতে অন্যেরা আপনার অটোগ্রাফ সংগ্রহ করে।” – জাফর ইকবাল।
➤ আরও পড়ুন- জীবন বদলে দেবার গল্প | একটি কালো ছেলে
আরও কিছু শ্রেষ্ঠ বাণীঃ-
১. ’’তুমি চাইলেও যেহেতু পেছনে যেতে পারবে না, তবে সামনে না চলে থেমে আছ কেন?’’ – সংগৃহীত।
২. “কিছু মানুষ আছে যারা তোমার মূল্য দেবে না, তাই বলে নিজেকে কখনো মূল্যহীন মনে করো না। কারন তারাই জানে তোমার মূল্য, তাই তোমাকে মেনে নিতে পারে না।” – সংগৃহীত।
৩. ’’তুলনা তার সাথে করো যে তোমার চেয়ে এগিয়ে আছে। তার সাথে নয়, যে তোমার চেয়ে পিছিয়ে আছে।’’
৪. “মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মতো, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।”
৫. “রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করা সব কুকুর-কে তুমি যদি ঢিল মারতে যাও, তাহলে তুমি তোমার গন্তব্যেই পৌঁছাতে পারবে না।”
৬. ’’রাগের মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না এবং আনন্দের সময় কোনো প্রতিশ্রুতি দিবেন না।’’
৭. ’’সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ করুন, তাহলেই সফলতা পাবেন।’’
৮. ’’সম্মান জিনিসটা অনেকটা আয়নার মতো! আপনি যতটুকু দিবেন ঠিক ততটুকুই ফিরে পাবেন।’’
৯. ’’কখনই নিজেকে কারো কাছে এতটাও ছোট করে দিও না, যে তার কাছে তোমার গুরুত্বটাই কমে যায়।’’
১০. “অর্থ লোভী নারী, আর নারী লোভী পুরুষ কখনও সুখী হতে পারে না।”
১১. “আপনার আনন্দ যেনো অন্য কারো সমস্যার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।”
১২. ’’অতীতকে তুমি বদলাতে পারবে না, কিন্তু তুমি চাইলে বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎকে বদলাতে পারো।’’ সুতরাং অতীতে কি করেছেন বা অতীতের কোনো কষ্টকে মনে করে বর্তমান সময়কে নষ্ট না করে বর্তমান সময়কে ভবিষ্যতের জন্য ইনভেস্ট করুন।
১৩. “নিজের বিপদের কথা শত্রুকে বলো না। সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে, আর অন্তরে উল্লাস বোধ করবে।” তাই, নিজের দুঃখকে ভুলে গিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে উপভোগ করুন। কারও নিকট আপনার দুঃখ শেয়ার করলে কিছুটা হালকা হতে পারলেও একসময় সেটিই আপনার জন্য এক কষ্টকর কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
১৪. “যে মাছের কাঁটা বেশি সে মাছের স্বাদ বেশী, যে ব্যক্তি সৎ বেশী তার জীবনে কষ্টও বেশী।” সুতরাং জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে বাধা-বিপত্তি আসতেই পারে। সেটিকে উপেক্ষা করেই আপনাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
১৫. “ভুল পথে হাঁটলে যেমন বার বার হোঁচট খেতে হয়, তেমনি ভুল মানুষের সাথে চললে বার বার ঠকতে হয়।” অতএব, ভুল মানুষ থেকে দূরে থাকুন। কেননা জানেনই তো ’’সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।’’ জীবনে ভাল মানুষের সাথে চলুন এবং খারাপ মানুষ থেকে বিরত থাকুন।
১৬. ’’ভাগ্য তো সেটাই যেটা আপনি পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করেছেন। মনে রাখুন, নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের উপর সফলতা নির্ভর করে।’’ অনেকেই মনে করে বসে থাকি যে, ভাগ্যে যা আছে সেটাই হবে। কিন্তু তাদের মনে রাখা জরুরি যে, পরিশ্রম ও চেষ্টার দ্বারা ভাগ্যও পরিবর্তন হয়।
১৭. ’’পৃথিবীতে সুখী বা ভাল থাকার বিষয়টাই ক্ষনস্থায়ী, এটাকে আপনি চাইলেও ধরে রাখতে পারবেননা।’’ কখনও দুঃখ আবার সেই দুঃখের পরেই সুখ আসবে। কাজেই কখনও দুঃখ বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে হাল ছাড়বেন না।
১৮. ’’টাকায় ভরা হাতটার চেয়ে, বিশ্বাসে ভরা হাতটা অনেক বেশি দামি।’’ সুতরাং কখনও টাকার কারণে নিজের বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন না।
১৯. “পরিস্থিতি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। জীবনে কাউকে কষ্ট দিয়ো না। আজ হয়তো তুমি শক্তিশালী, কিন্তু মনে রেখো সময় তোমার থেকেও বেশী শক্তিশালী।”
২০. “কেউ যদি তোমার জীবন থেকে সরে যেতে চায় তবে তাকে যেতে দাও, কখনো বাঁধা দিও না। মনে রাখবে, নদীর স্রোতও কিন্তু বৃষ্টি হয়ে ফিরে আসে।”
২১. “তিনটি জিনিস ফিরে আসে না- সময়, কথা, সুযোগ। তিনটি জিনিস হারানো ঠিক না- শান্তি, আশা, সততা। তিনটি জিনিসের পতন হয়- অহংকার, মিথ্যা, হিংসা। তিনটা জিনিস খুব দামী- ভালবাসা, আত্মবিশ্বাস ও বন্ধুত্ব।”
২২. একটা কথা সর্বদাই মনে রাখবে, ’’বর্তমানে তুমি যেখানে অবস্থান করে আছো, সেটা তোমার অতীতের ফল। কিন্তু ভবিষ্যৎ সময়ে তুমি যেখানে অবস্থান করবে। সেটা কিন্তু তোমার আজকের কর্মফল।’’ তাই সর্বদাই চেষ্টা করবে বর্তমান সময়ে ভাল কিছু করার। যেনো তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
২৩. ’’যে ব্যক্তির মধ্যে যত বেশি ধৈর্য্য আছে, সেই ব্যক্তির সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেশি।’’ কারণ কোনো একজন মানুষের মধ্যে ধৈর্য্য হলো এমন এক ধরনের শক্তি। যে শক্তির সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন বাধাকে অতিক্রম করা সম্ভব। তাই সর্বদা নিজের মধ্যে ধৈর্য্য রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ এটা প্রবাদে আছে যে, ’’সবুরে মেওয়া ফলে, আর ধৈর্য্যের ফল অনেক সুমিষ্ট হয়।’’
২৪. ’’যদি কোন একটি মানুষ গরীব হয়ে জন্ম নেয়, তাহলে সেখানে তার মোটেও কোন ভুল নেই। কিন্তু সেই ব্যক্তিটি যদি গরীব হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে সেটাই হলো তার সবচেয়ে বড় অপরাধ।’’ সেজন্য জীবনে চলার পথে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করবেন। যেন ভবিষ্যতের জন্য কিছু রেখে যেতে পারেন।
➤ আরও পড়ুন- শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপস
প্রিয় পাঠক, উল্লিখিত মণীষীদের শ্রেষ্ঠ বাণী সমূহের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই
———– ধন্যবাদ! ———–