Breaking News

বিটকয়েন কি – What Is Bitcoin? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে? বিটকয়েনের ইতিহাস

বিটকয়েন / Bitcoin (₿) বিশ্বের সর্ব প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অনলাইন মুদ্রা যেটি ডিজিটিাল মুদ্রা হিসেবে পরিচিত। এটির বর্তমান মূল্য আকাশচুম্বী। এটিকে লেনদেন করার জন্য কোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। এমনকি এটি কোনো দেশের সরকার কতৃক পরিচালিত নয়। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) ছদ্মনামে এক ব্যক্তি সর্ব প্রথম এই মুদ্রার প্রচলন করেন।

বলছিলাম অনলাইনে বহুল প্রচলিত এক অদৃশ্য টাকার ইতিহাস সম্পর্কে। যেটি সম্পর্কে জানার কৌতুহল সকলেরই কমবেশি রয়েছে। আমরা অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকি বা জানতে চাই- বিটকেয়েন কি? (What is Bitcoin?) হয়ত এতদিনে বিটকয়েনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেছি। হতে পারে বিটকয়েনের নাম শুনলেও এটা কি ও কি কাজে লাগে বা এর শুরুর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে আসুন জেনে নিই বিটকয়েন কি? এর ব্যবহার ও সৃষ্টির ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কে।

বিটকয়েন কি? (What is Bitcoin):-

বিটকয়েন হলো এমন একটি মুদ্রা (Currency) যা কাগজে ছাপা হয় না। সোনা, রুপা, তামার কয়েনেও নয়। বিটকয়েন হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা বা Cryptocurrency. যা দিয়ে শুধু নেট জগতেই লেনদেন চলে। ইন্টারনেটে যেকোনো কিছু বেচা-কেনার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিটকয়েনের সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এটি একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা, যার লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। আর তাই প্রয়োজন হয় না কোন অনুমোদনেরও। আর ইন্টারনেটে লেনদেনকারীদের নিকট খুবই জনপ্রিয় এই বিটকয়েন।

আরও পড়ুন- ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায়

বিটকয়েন এর উৎপত্তি (The Creation of Bitcoin):-

প্রকৃতপক্ষে বিটকয়েন কে বা কারা আবিষ্কার করেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি। বলা চলে, ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে এক ব্যক্তি সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) ছদ্মনাম ব্যবহার করে ৯ পৃষ্ঠার একটি গবেষণার ফলাফল ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। গবেষনার শিরোনাম ছিলো- “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System”. যেখানে প্রথম বিটকয়েন সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়।

এই গবেষণায় তিনি ধারণা দেন, কিভাবে কোনো ব্যাংক বা মধ্যস্থ প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ব্যতীত পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে অতি সহজে ও দ্রুত লেনদেন করা যাবে। এই পদ্ধতিতে পিয়ার-টু-পিয়ার তথা এক ব্যবহারকারী থেকে অন্য ব্যবহারকারীর কাছে সরাসরি টাকা পাঠানো সম্ভব।

যেটির জন্য কোনও তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে না। সেই সঙ্গে ‘ডাবল স্পেন্ডিং’ থেকে বিরত থাকতে পারবে। এই ব্যবস্থায় সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হবে আস্থার ভিত্তিতে নয়, ‘কাজের (লেনদেন) প্রমাণের’ ভিত্তিতে এবং সব ধরনের লেনদেন একটি নিদিষ্ট নেটওয়ার্কে লিপিবদ্ধ হবে।

আর এই গবেষণার উপর ভিত্তি করেই ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিটকয়েন প্রথমে বাজারে আসে। সাতোশি নাকামোতো সর্বপ্রথম বিটকয়েন ‘মাইনিং’ এর জন্য সফটওয়্যার তৈরি করেন। ‘মাইনিং’ হচ্ছে বিটকয়েন তৈরি করার পদ্ধতি।

এক বিটকয়েন সমান ১০,০০,০০,০০,০০০ (দশ কোটি) সাতোশি। সাতোশি নাকামাতো এর ছদ্মনাম অনুসারে বিটকয়েনের এককের নাম রাখা হয় সাতোশি। তবে, এই সাতোশি নাকামোতোর আসল পরিচয় এখনও অজানা।

আরও পড়ুন- ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার সেরা কয়েকটি টিপস

বিটকয়েন এর ব্যবহার ও মূল্যঃ-

সম্পূর্ণ ডিজিটাল উপায়ে তৈরি এই মুদ্রার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি নিয়ন্ত্রণ করে না। ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী এটি ব্যবহারের ফলে এর মুদ্রা ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। পিয়ার-টু-পিয়ার ব্যবস্থার কারণে কোনও প্রতিষ্ঠান বা মিডলম্যান ছাড়াই সরাসরি লেনদেন সম্পন্ন হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহৃত হওয়ার কারণে উপযুক্ত অনুমতি ছাড়া বিটকয়েনের অ্যাকসেস নেওয়া অসম্ভব। আর একটা ব্যাপার হলো বিটকয়েনে সম্পূর্ণভাবে ছদ্মনামে লেনদেন সম্ভব।

বিটকয়েনের মূল্য খুবই অস্থিতিশীল। প্রতি ঘণ্টায় এটির মূল্য পরিবর্তিত হয়ে থাকে। wikipedia.org ওয়েবসাইটের মতে, ২০০৯ সালে যখন এটি আবিষ্কার করা হয়েছিল তখন ২০০৯ থেকে ২০১০ এ এক বিটকয়েনের দাম প্রায় কিছুই ছিল না বললে চলে। তবে, ২০১০ সালের মার্চ মাসে এক বিটকয়েনের দাম $0.003 এবং জলুাই মাসে $0.008-$0.08 এ এসে পৌছায়।

তারপর ২০১২ সালের পর প্রায় ২০১৩ সাল থেকে এক বিটকয়েনের দাম তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বর্তমানে (২০২১ সালে) এক বিটকয়েনের দাম প্রায় $44,364.30. যেটির বাংলা মূল্যে প্রায় ৩৭,৬৩,৯৫০.৬২ টাকা। এবং বলা চলে, যত সময় যাবে এর মূল্য তত বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিটকয়েন

বিটকয়েন কীভাবে কাজ করেঃ-

বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের ওয়ালেটে। ওয়ালেটে এটি সঞ্চিত থাকে। একজন বিটকয়েন ব্যবহারকারীকে দুটি ‘কি’ (Keys) ব্যবহার করতে হয়। একটি ‘পাবলিক কি’ (Public Key), যেটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। অন্যটি ‘প্রাইভেট কি’ (Private key), এটি গোপন থাকে এবং লেনদেনের নিশ্চয়তার জন্য ব্যবহৃত হয়।

আগেই বলা হয়েছে এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নেই। এটির সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এটি মাইনারের মাধ্যমে যে কেউ উৎপন্ন করতে পারে। এটি উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সবসময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে।

এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কর্তৃক অন্য কারও অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই ট্র্যানজেকশন বা লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার তৈরী হয়ে যায়। ট্র্যানজেকশনের ইতিহাস একটি খতিয়ানে (পাবলিক লেজার) রেকর্ড করা থাকে, যাকে ‘ব্লক চেইন’ (Block chain) বলে। ব্লক চেইন সর্বপ্রথম ট্র্যানজেকশনের হিসাব থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সকল হিসাব সংরক্ষিত আছে এবং নিয়মিতভাবে আপডেট হচ্ছে।

বিটকয়েন দিয়ে কোনো পণ্য কেনা হলে তা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই বিটকয়েন দিয়ে পুনরায় পণ্য কিনতে পারে। অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক চার বছর পর পর এটির মোট সংখ্যা পুনঃনির্ধারন করা হয় যাতে করে বাস্তব মুদ্রার সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়।

আরও পড়ুন- অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারনা

বিটকয়েনের সুবিধাসমূহঃ-

অনলাইনে যারা লেনদেন করেন তাদের জন্য এই মুদ্রা খুবই সুবিধাজনক। যাদের বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করার মত সুযোগ-সুবিধা নেই বা ক্রেডিট কার্ড নেই তাদের জন্যও এটির ব্যবহার ব্যাপক উপকারি। তাছাড়া এটির আরও কিছু সুবিধা রয়েছে।

যেমন-

১. এটি লেনদেনে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না। ফলে এটিকে যেকোনোভাবে যত ইচ্ছা ব্যবহার করা যায়।

২. কোনো ব্যাংকের সাথে যোগাযোগের প্রয়োজন পরে না। এর ফলে এটিকে যেকোনো সময় নিজ ইচ্ছানুযায়ী অতি দ্রুত লেনদেন করা যায়।

৩. স্বল্প সময়ে যেকোনো জায়গায়, যে কারোর কাছে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়।

৪. লেনেদেনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজ পরিচয় গোপন রাখা যায়।

৫. এটি সঞ্চয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে অধিক মূল্যে বিক্রি করা যায়। এটির মাধ্যমে অল্প সময়েই ভাল প্রফিট করা যেতে পারে।

বিটকয়েনের অসুবিধাসমূহঃ-

বিটকয়েন লেনদেনেরে ক্ষেত্রে কোন ধরনের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান না থাকা এবং এর কার্যক্রম তদারকি করার কোন সুযোগ না থাকায় অপরাধীদের কাছেও খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিটকয়েন। বৈধ লেনদেনের পাশাপাশি অবৈধ লেনদেনেও ব্যবহৃত হয় মুদ্রা। এর অন্যতম অসুবিধা হলো-

১. কোনো কারণে লেনদেন যদি অসম্পূর্ণ হয়ে যায়, গ্রহীতা সেই সেবা না পেলেও মুদ্রা ফেরত পাওয়ার কোনও উপায় নেই। অতএব, এখানে লেনদেন করতে হলে সম্পূর্ণ দায়ভার নিজেকেই নিতে হয় এবং সাবধানে লেনদেন করতে হয়।

২. বিটকয়েন ওয়ালেট হারিয়ে গেলে বা নষ্ট (ড্যামেজ) হয়ে গেলে এটি আর ফিরে পাওয়া যাবে না। সুতরাং বিটকয়েনের কোনো ওয়ালেট বা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনাকে যেই প্রাইভেট কি (Keys) দেওয়া হবে তা অবশ্যেই সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

৩. এটির বাজার মূল্য স্থিতিশীল নয়। যেকোনো সময় এটির মূল্য কম বা বেশি হতে পারে। যার কারণে অনেকে মূহুর্তের মধ্যে কোটিপতি আবার মূহুর্তের মধ্যে ফকিরও হয়ে যেতে পারে।

৪. অনেকসময় এটি অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন- জুয়া খেলা, বাজি ধরা, অবৈধ পণ্য কেনা-বেচা, মাদক চোরাচালান এবং অর্থপাচার কাজেও এর ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৫. এর ব্যবহার ক্রমে বাড়ছে, কিন্ত তা প্রচলিত মুদ্রার তুলনায় খুবই সীমিত পরিসরে। তাই একে প্রচলিত মুদ্রায় পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে হয়।

৬. বিটকয়েনে কোনও ক্রেডিট ব্যবস্থা নেই। এটি একটি ভালো দিকও বটে, কিন্ত বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতি চলছে ক্রেডিট নির্ভর ব্যবস্থায়। ক্রেডিটের উপর ভিত্তি করে আমরা বিভিন্ন পণ্য সেবা নিয়ে থাকি।

আরও পড়ুন- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার সেরা উপায়

বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলবেন?

বিটকয়েন লেনদের করতে হলে প্রথমেই আমাদেরকে একটি বিটকয়েন ওয়ালেট (Bitcoin Wallet) অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে। এবং ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে যেকোনো একটি বিটকয়েন ওয়ালেটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিটকয়েন ওয়ালেট বিভিন্ন রকম হতে পারে।

যেমন-

  • Desktop Wallet
  • Mobile Wallet
  • Online Wallet
  • Hardware Wallet 

এগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি ওয়ালেট ব্যবহার করে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই অ্যাকাউন্ট গুলো থেকে আমারা Unique Address বা ID পাবো এবং সেটির মাধ্যমে লেনেদেন করতে পারবো।

বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় Apps হলো-

Coinbase-এ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম দেখুন-

বিটকয়েন কিভাবে ইনকাম করা যায়?

বিটকয়েন ইনকাম করার মূলত তিনটি উপায় বা মাধ্যম রয়েছে। যেমন-

১. টাকা খরচ করে বিটকয়েন কেনাঃ- যদি আপনার নিকট অতিরিক্ত টাকা থাকে তাহলে আপনি বিটকয়েন বা বিটকয়েনের সাতোশি কিনতে পারেন। এটির মূল্য যখন বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে আপনার টাকায় কেনা বিটকয়েনও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তবে, এটিতে ঝুকি নিতে হবে।

২. বিনিময়ে বিটকয়েন কেনাঃ- যদি আপনার নিকট অনলাইনে কোনো পণ্য থাকে তাহলে সেটি আপনি বিটকয়েনের বিনিময়ে বিক্রি করতে পারেন। এই সিস্টেমে আপনার পণ্য বিক্রির পাশাপাশি বিটকয়েনও ইনকাম হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে আপনি বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে তা বিক্রি করে অধিক লাভবান হতে পারেন। এই পদ্ধতিতে অবশ্যই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে এবং এটির মূল্য বৃদ্ধির পর তা বিক্রি করে দিতে হবে।

৩. বিটকয়েন মাইনিংঃ- মাইনিং সম্পর্কে আমরা পূর্বেই আলোচনা করে নিয়েছি। মাইনিং করা খুব বেশি সহজ নয়। এটির জন্য আপানার ভাল একটি কম্পিউটার থাকা লাগবে যার প্রসেসর ও হার্ডওয়্যার অধিক শক্তিশালী ও উন্নতমানের হতে হবে।

তবে, কিছু কিছু নতুন কোম্পানি নিজেদেরকে প্রচার ও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য মোবাইল অ্যাপস বা ওয়েবাসাইটে ফ্রিতে বিটকয়েন বা সাতোশি বোনাস দিয়ে থাকে। আপনি এসকল কোম্পানির অফার সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রেখেও এটি মাইনিং করতে পারেন।

ফ্রিতে বিটকয়েন মাইনিং করতে নিচের ভিডিওটি দেখুন-

বিটকয়েন জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণঃ-

দিন যত যাচ্ছে, বিটকয়েনের প্রচলন ও জনপ্রিয়তা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কতিপয় কারণ রয়েছে। যথা-

১. সহজ সেট-আপঃ- সাধারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তুলনায় বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট সেট-আপ করা খুবই সহজ। ন্যূনতম কম্পিউটার বা মোবাইল জ্ঞান আর অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে খুব সহজেই বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং লেনদেন করতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনো ফি প্রয়োজন পড়ে না।

২. গোপনীয়তাঃ- একজন ব্যবহারকারী একাধিক বিটকয়েন অ্যাড্রেস ধারণ করতে পারেন যেখানে তার কোনও নির্দিষ্ট নাম, ঠিকানা কিংবা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হয় না। সাধারণত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এই ধরনের গোপনীয়তা ডিজিটাল মুদ্রার সিস্টেমে দেখা যায় না। এই কারণে নেটিজেন থেকে ব্যবসায়ী, সকলেই এটি ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দবোধ করে থাকেন।

৩. স্বচ্ছতাঃ- বিটকয়েন নেটওয়ার্কে লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ একটি বিরাট অথচ সাধারণ খতিয়ানের মাধ্যমে সংরক্ষিত রাখা হয়, যার নাম (Block Chain) ব্লক চেইন। তাই এই ব্যবহারকারীকে তার লেনদেনের যাবতীয় তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হয় না। এই সিস্টেমে চাইলেই একজন ব্যবহারকারী তাঁর লেনদেনের গতিবিধি দেখতে পারেন, সুতরাং এখানে জালিয়াতির সম্ভাবনা খুবই দুষ্কর।

৪. স্পিডঃ- বিটকয়েন সিস্টেম চকিতে কাজ করে। এটি স্থানান্তর করার কয়েক মিনিটের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে অন্য প্রান্তের সার্ভারে। বিটকয়েন নেটওয়ার্ক পেমেন্ট প্রসেসরও খুব দ্রুত সম্পন্ন করে। এই কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানিক লেনদেনের জন্যও আজকাল এটি ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মুদ্রার উপর চাপ কমাতে ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বাড়ানো উচিত। এটি যেহেতু প্রথম ডিজিট্যাল মুদ্রা, তাই এর ব্যবহার মানুষ বেশি করছে।

বিটকয়েন লেনদেনের ইতিহাসঃ-

বিটকয়েনের বিনিময়ে প্রথম পণ্য কেনা হয় ২০১০ সালের ২১মে। বিটকয়েন ব্যবহারকারী লাসজলো (Laszlo) ১০ হাজার বিটকয়েন মুদ্রার বিনিময়ে ২৫ ডলার মুল্যের দুটি পিৎজা কেনেন। অবশ্য তখন বিটকয়েনের মূল্য অনেক কম ছিল।

বিটকয়েন

বিটকয়েন কারা ব্যবহার করেনঃ-

বিশ্বব্যাপী ৩০ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী এবং প্রতিষ্ঠান বিটকয়েন গ্রহণ করে। মার্কিন শেয়ারবাজার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাসদাকের তথ্য বলছে, অনলাইন খুচরা বিক্রেতা Overstock.com, ব্রিটেনে রিচার্ড ব্রায়ানসন পরিচালিত বিমান সেবা প্রতিষ্ঠান Virgin Galactic, জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম WordPress, মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান Tesla Motors ছাড়াও অনলাইন ডেটিং ওয়েবসাইট থেকে এবং টরেন্ট সাইট The Pirate Bay বিটকয়েনের মাধ্যমেই পরিষেবা আদান-প্রদান করে থাকে।

বন্ধুরাপোস্টটির মাধ্যমে বিটকয়েন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———– ধন্যবাদ! ———–

About Bondhu24

Check Also

১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ

১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ ; যা নিত্যদিন ব্যবহারযোগ্য

আজকের আর্টিকেলে ১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ নিয়ে হাজির হয়েছি যা দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই ব্যবহার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *