Breaking News

ওয়েবসাইট তৈরির আগে যেই বিষগুলো জানা উচিৎ । Online Income by Freelancing

আজকে আমরা ওয়েবসাইট তৈরির গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানব যেগুলো ওয়েবসাইট তৈরির আগে জানা জরুরি। বর্তমান প্রায় সময়ে আমরা অনেকেই শখ করে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকি বা তৈরি করার ইচ্ছা পোষন করি এবং সেটির জন্য আমরা WordPress বা Blogger প্লাটফর্মকে বেঁছে নেই। কারণ সাইট বানানোর জন্য আমাদের মতো আমজনতাদের কাছে এই প্ল্যাটফর্মগুলো অনেক সহজ।

প্রকৃতপক্ষে ওয়েবসাইট আমদের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো। আর একজন ডেভেলপারের কাছে এটি পেশা। তাই আমাদের আশে-পাশে বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিত অনেকের ওয়েবসাইট আছে দেখেই আমাদেরও তাদের মতো ওয়েবসাইট করার শখ আসে বলা যায়। কিন্তু আমাদের সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতিগুলো ভাল ভাবে জানা উচিৎ।

কারন এগুলো আমাদের না জানার কারণে আমরা সঠিক বিষয়টি বুঝতে পারিনা এবং পরবর্তীতে কাজ করতে এসে পিছু হটতে হয় এবং সর্বোপরি আমাদের স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। কারন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আগে অনেক কিছুই আপনাকে বুঝে নিতে হবে। বিশেষ করে আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চাইছেন, ওয়েবসাইটে আপনি কি কাজ করতে চাচ্ছেন, ওয়েবসাইট তৈরিতে আপনি কত টাকা খরচ করতে চাচ্ছেন? ইত্যাদি ইত্যাদি…

ওয়েবসাইট তৈরির আগে যেই বিষগুলো জানা উচিৎঃ-

১. ওয়েবসাইট তৈরি করার উদ্যেশ্যঃ-

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া কোন কাজেই সফল হওয়া যায় না। ওয়েবসাইটও এর ব্যাতিক্রম নয়। সবার প্রথমে বুঝতে হবে, কেন আপনার ওয়েবসাইট দরকার? পরিচিতি, পন্য বিক্রয়, বিজ্ঞাপন থেকে টাকা আয়, নাকি জাস্ট ফর্মালিটি? কি কি পারপাস সলভ হতে হবে ওয়েবসাইট থেকে সেগুলো আগে নোট ডাউন করে নিন।

ওয়েবসাইট তৈরির পূর্বেই আপনাকে নিজের উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। কারণ উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করেই আপনাকে অন্যন্য কাজ যেমন- ডোমেইন, হোস্টিং, ডিজাইন ইত্যাদি কাজগুলো করতে হবে। যদি আপনার উদ্দেশ্য সঠিক থাকে তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে পারেন।

আরও পড়ুন- উপায় একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২

২. ওয়েবসাইট তৈরির খরচঃ-

ওয়েবসাইট এর খরচ মূলত আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। কারণ আপনি ঠিক কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তার উপর এটি নির্ভরশীল। আপনি যদি প্রফেশনালভাবে কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে কোডিং করা ওয়েবসাইট নিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমান টাকা গুনতে হবে।

প্রায় বিষয়টা এমন যে, আপনি একটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম এর সাইট বানিয়ে নিতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষ কোনো কোনো সময় সাইট বানাতে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৫-৬ লাখ বা তার চেয়ে আরও বেশি টাকা লাগতে পারে।

এর পর আপনি যদি WordPress-এ কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ডোমেইন এবং হোষ্টিং কিনে কাজ করতে হবে। এটি করতেও আপনার প্রায় ১ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগতে পারে। তবে নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন।

এছাড়া আপনি চাইলে ফ্রি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ডোমেইন কিনে Blogger-এও ব্লগ সাইট বানিয়ে নিতে পারেন। বা আপনি ইচ্ছে করলে ডোমেইন ব্যতীত সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগার সাইট তৈরি করতে পারেন অথবা কিছু টাকা খরচ করে একটি ডোমেইন কাস্টমভাবে সংযুক্ত করে নিতে পারেন। তো বন্ধুরা আশা করছি বুঝতে পেরেছেন ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি গুলোর জন্য বাজেট কেমন হতে পারে।

৩. ডোমেইন নাম পছন্দ করাঃ-

আপনি সব সময়ই চেষ্টা করবেন আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য একটি ভাল এবং সুন্দর নাম পছন্দ করার। পাশাপাশি সব সময়ই ডোমেইন এর নামটি যেন ছোট হয়। তাহলে সেটি দেখতে অনেক ব্র্যান্ডেবল বলে মনে হবে। আপনি যদি বড় ডোমেইন নাম পছন্দ করেন তাহলে অর্গানিক তেমন একটা ভিজিটর আসতে চাইবে না।

আরও পড়ুন- ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায়

আপনি যে বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করে সাইট বানাতে যাচ্ছেন চেষ্টা করবেন সেই বিষয়ের উপর ডোমেইন নাম পছন্দ করার এবং সেটি যেন আপনার কাজের সাথে মিল থাকে। এছাড়া আপনি যদি ব্রান্ডেবল ডোমেইন নিতে চান তাহলে কিছু বিশেষ টুল এর সাহায্য নিতে পারেন। কারণ ব্রান্ডেবল এবং সুন্দর মানের ডোমেইন পাওয়া দুস্কর।

তবে আপনি ডোমেইন নাম বাছাই এর ক্ষেত্রে কিছু টুল ব্যবহার করতে পারেন।

যেমন-

1. leandomainsearc

2. domainwheel

3. instantdomainsearch

4. cumilla-it

আপনি এই সাইট গুলোতে গিয়ে আপনার নিশ বা টপিক দিয়ে সার্চ দিবেন বাকিটা আপনাকে টুলস-ই সাজেষ্ট করে দিবে। তবে মনে রাখবেন, ডোমেইন যেই নামেই নেন সেটি যেন ভবিষ্যতে বড় করা যায়, এবং সিমিলার টপিকগুলো খুব ভালভাবে কভার করতে পারে। তাছাড়া শুনতেও দেখতে ভাল লাগে এমন হলেই আপনি কাজ করে খুব তারাতারি সফল হতে পারবেন।

আমাদের দেশে একটি ট্রেন্ড প্রচলিত আছে যে ওয়েবসাইট মানেই (.com) ডট কম। অন্য আরও যে কিছু এক্সটেনশন আছে, সেগুলো মানুষ জানেও না বা জানলেও মানতে চায় না।

  • .com = কমার্শিয়াল বা বানিজ্যিক সাইট। যেটি সরাসরি ব্যাবসার সাথে সমপৃক্ত। এখন, আমি যদি একটি সাইট খুলি যেখানে দরিদ্রদের হেল্প করা হবে। yourdomain.com নিয়ে নিলাম। এটা ভুল। এখানে নিতে হবে yourdomain.org কারন এটি একটি সংস্থ্যা।
  • .org = অর্গানাইজেশন বা সংস্থ্যা।
  • .edu = শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য।
  • .gov = সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য।
  • .info = তথ্যবহুল সাইট, ব্লগ হতে পারে, টেলিফোন ডিরেক্টরি হতে পারে। যেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।

ওয়েবসাইট তৈরি

৪. হোষ্টিং সার্ভিসঃ-

হোষ্টিং একটি সাইট এর সকল ডাটাবেজ ধরে রাখার জন্য অনেক গুরত্বপূর্ন। তাই চেষ্টা করবেন সব সময়ই আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য ভাল মানের হোষ্টিং কিনে ব্যবহার করার। কারণ ভাল সার্ভিসের জন্য অবশ্যই হোষ্টিং এর স্পীড একটি সাইট এর জন্য গুরত্বপূর্ন বিষয়।

আপনি হয়ত অনেক হোষ্টিং সাইট দেখবেন যারা কম টাকাতে বেশি ষ্টোরেজ দিয়ে থাকে। আপনি তাদের থেকে কখনোই ভাল মানের এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন সার্ভিস পাবেন না। তাই হোষ্টিং কেনার পূর্বে বেশি দামে যতটুকু দরকার তেমন হোষ্ট কিনবেন। ষ্টোরেজ কম হলেও সমস্যা নেই কারণ আপনি সার্ভিস ভাল পাবেন।

তবে হোষ্ট কেনার পূর্বে আপনি হোষ্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান এর সাথে কথা বলে নিবেন। বিশেষ করে তাদের সার্ভিস এর বিষয়ে কিছু জানা অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্যে তাদের সার্ভার কয়টি, কোন কোন দেশের সার্ভার, পিউর এসএসডি ষ্টোরেজ কিনা, কতটুকু ব্যান্ডিউইথ এগুলো জানা অনেক বেশি প্রয়োজন।

তবে আপনি যদি হোষ্টিং-এ টাকা খরচ না করতে চান তাহলে Blogger-এর সাহায্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কারণ Blogger-এর ব্লগস্পট ডোমেইন সারা জীবন ফ্রি। এটির জন্য আনলিমিটেড স্টোরেজ পাবেন, সাইট এর ভিজিটর লোড নিয়ে কোন সময় ভাবতে হবে না। তো বন্ধুরা আপনি কিসে সাইট বানাবেন এই বিষয়টি আপনার উপরই নির্ভর করছে।

আরও পড়ুন- জীবনের জন্য ক্ষতিকর কিছু কাজ

৫.ওয়েবসাইট এর ডিজাইনঃ-

আপনার ওয়েবসাইট কে সুন্দর ও সাবলীল লুক দেবার জন্য অবশ্যই আপনি সাইট এর ডিজাইন খুব ভালভাবে সাজাবেন। কারণ আপনার ওয়েবসাইট এর ডিজাইন যদি দেখতে ভাল না লাগে তবে আপনার ভিজিটরদের কাছেও সাইট এর প্রাধান্য পাবেন না আপনি। তাই ওয়েবসাইট-কে এমনভাবে সাজাবেন যেনো সেটি আপনার ভিজিটরের কাছেও ভাল লাগে।

সাইট এর ডিজাইন করার সময় সাইট এর মেনু বাটন, এডস প্লেসমেন্ট পেজ সহ প্রতিটা ক্যাটাগরি খুব ভালো ভাবে সাজানোর চেষ্টা করবেন। আপনি যদি নিজে সাইটের ডিজাইন করতে না পারেন তাহলে প্রফেশনাল সাইট ডেভেলপারদের থেকে সাইট সাজিয়ে নিবেন।

সাইট কে সাজানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন সেটি হলো-

  • সাইট রেসপন্সিভ কিনা।
  • সাইট এর লোডিং স্পিড কেমন।
  • সাইট অপ্টিমাইজ কিনা।

 মোটামোটি এখানে উল্লিখিত এই ৩টি বিষয় ঠিকঠাক করলেই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।

৬. কন্টেন্ট এসইওঃ-

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট আপলোড করে থাকেন তাহলে সে কন্টেন্ট গুলোকে অবশ্যই আপনাকে এসইও করতে হবে। আপনি যদি আপনার কন্টেন্ট গুলোকে কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করে খুব সুন্দর ও মান-সম্মতভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করতে না পারেন তাহলে আপনার কন্টেন্ট কেউ দেখতে পারবে না। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রোপারলি ভাবে ভিজিটর আনতে পারবেন না।

আপনার সাইটে ভালো ভিজিটর পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে পোষ্ট বা সাইট এসইও করতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করবে এবং ভাল ভিজিটর পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি সাইট এর জন্য অফ পেইজ এসইও করতে হবে এবং অফ পেইজ এসইও এই কাজটি আপনাকে প্রতিদিন ধীরে ধীরে করতে হবে। এক সাথে অফ পেইজ এসইও তে খুব তাড়াতাড়ি আগাতে চাইলে গুগল আপনাকে স্প্যামিং করছেন ভেবে পেনাল্টি দিয়ে দিতে পারে তাই ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে।

বন্ধুরা, আশা করছি যারা ওয়েবসাইট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা অবশ্যই উপরের বিষয় গুলো খুব ভালভাবে আয়ত্ত করে নিবেন। আজকের পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই লাইক দিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোস্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই

———– ধন্যবাদ! ———–

About Bondhu24

Check Also

১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ

১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ ; যা নিত্যদিন ব্যবহারযোগ্য

আজকের আর্টিকেলে ১০০টি ইংরেজি কমন ডায়লগ নিয়ে হাজির হয়েছি যা দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকেই ব্যবহার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *