সন্তান হিসেবে অবশ্যই প্রত্যেক সন্তান আদর্শ বাবার উপদেশ কামনা করে থাকেন। কিন্তু আমাদের অনেকের বাবারাই আদর্শ উপদেশ দেবার পন্থা খুঁজে পান না। যার কারণে সন্তানের নিকট তাহারা আদর্শ বাবা হতে পারেন না, অপরদিকে সন্তান একজন আদর্শ বাবার উপদেশ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।
তাছাড়া আমাদের অধিকাংশ সন্তানগণের নিকট বাবা মানেই একজন কঠিন মানুষ, বাবা মানেই যেনো ভিলেন ক্যাটাগরির একজন, বাবা মানেই ভয় পাবার মতো একজন ইত্যাদি ইত্যাদি….
তবে, বাবারা যদি প্রত্যেক সন্তানদের নিকট আদর্শ বাবা হতে পারতেন তাহলে হয়তো এই পৃথিবীতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও ভাল বন্ধু হতেন একমাত্র বাবা। আর এই সম্পর্কে সন্তানও বাবার বাধ্যগত সন্তান-ই হয়ে থাকতেন। একদম যেমনটা আশা করেন বাবারা তাদের সন্তানদের কাছ থেকে।
তাই একজন আদর্শ বাবা হিসেবে প্রত্যেক সন্তানদের নিম্নোক্ত উপদেশবলি প্রদান করা উচিত। অপরদিকে একজন সেরা সন্তান হিসেবে প্রতিটি ছেলের নিম্নোক্ত উপদেশবলি পালন করে বাবার গর্ভিত সন্তান হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা উচিত।
➤ আরও পড়ুন- ঔষধ ছাড়া স্বাস্থ্য ভাল রাখার ২০টি কার্যকরী উপায়
ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ-
১. জুতা সেলাই বা রং করাতে চাইলে মেরামতকারীর সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে দিও এবং সম্ভব হলে একবার নিজে মুছে দিও।
২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখো না।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেবার চেষ্টা করো বেশি। মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
➤ আরও পড়ুন- ঝকঝকে সাদা দাঁত পাবার উপায়
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে বা তুমি কোন পরিবারের সন্তান।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কেননা জীবন সংগ্রামে দুজনই তোমার আপনজন। কাউকে ছাড়াই তুমি বেঁচে থাকতে পারবে না।
১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করো।
১৪. শ্বশুর কিংবা শ্বাশুড়িকে এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করো, যাতে করে তাদের মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলো এবং কথা বলো। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা।
➤ আরও পড়ুন- BCS ক্যাডার কোন পদে কতটুকু সুবিধা ও অসুুবিধা
➤ শেষ কথাঃ- প্রিয় পাঠক, আশা করছি একজন বাবা হিসেবে সন্তাদের কি-ধরনের উপদেশ প্রদান করা উচিত সে সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। অপরদিকে সন্তাদের কি-ধরনের উপদেশ পালন করার মাধ্যমে বাবাদের নিকট নিজেদেরকে সেরা হিসেবে প্রমাণ করা যায় সে সম্পর্কেও অবগত হয়েছেন।
’’আদর্শ বাবার উপদেশ’’ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবসময় সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে ভালো থাকবেন। আমাদের আরও অন্যান্য পোষ্টগুলো ভাল লাগলে অবশ্যই পড়তে পারেন। পরবতীর্তে আমাদের ওয়েবসাইটে আসার অনুরোধ করছি। আজ এই পর্যন্তই
———– ধন্যবাদ! ———–